এলাকা সূত্রে জানা যায়, কিছু প্রোমোটার মিলে গোপনে গাছগুলি কাটার পরিকল্পনা করেন। তাঁদের দাবি, প্রায় এক দশক আগে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি মিলে ওই জমি কেনেন এবং পরে তা প্লট করে বিক্রি করেন। জমির একাংশে থাকা প্রাচীন জলাশয় ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অবশিষ্ট ছিল রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি প্রাপ্তবয়স্ক তেঁতুল গাছ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকর্মা পুজোর আগে শহরে ‘ওঁদের’ ভিড়, সবাই ছুটে এসেছেন! বর্ধমানে হচ্ছেটা কী?
সোমবার সকালে একটি গাছ কাটার সময় পথচলতি সচেতন নাগরিকরা মোবাইলে ছবি তুলে বিভিন্ন দফতর এবং সরকারি আধিকারিকদের পাঠান। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বীরেন দেবনাথ নামে এক অভিযুক্ত জানান, ‘আমরা বন দফতরকে জানিয়েই গাছ কাটছি’। যদিও বন দফতর জানান, তাঁদের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বন দফতরের আধিকারিকরা পুলিশ প্রশাসন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধ করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরাঞ্চলে গাছ কাটার ক্ষেত্রে পৌরসভার চেয়ারম্যানের একটি ছাড়পত্র নেওয়া আবশ্যিক। এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, শতবর্ষ প্রাচীন গাছ রক্ষার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, প্রথমত গাছ কাটার পারমিশন পৌরসভা দেয় না। ডিএফওর থেকে দেওয়া হয়। সেই পারমিশন তাঁদের কাছে আছে কিনা আমার জানা নেই। স্থানীয় এলাকার মানুষজন আমাকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা হয়তো ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। যদি সেটি সরকারি জায়গা হয় বা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় সরেজমিনে মাপজোক করে বিষয়টি দেখা হবে।