সিনেমায় অভিনয় থেকে মডেলিং, অ্যাড শুট সহ নানা অনুষ্ঠানে এখন সেলিব্রেটি হিসেবেই দেখা যায় পলিকে। টলিউড ও বলিউডের পরিচালকরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সংসার সামলে এই সাফল্যে আজ রীতিমতো সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অশোকনগরের এই গৃহবধূ। এখন বহু নারীর কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। নিশ্চয়ই ভাবছেন কে এই পলি ঘোষ?
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্বল্প বিনিয়োগেই মোটা টাকা আয়! উপার্জনের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন মেদিনীপুরের শিক্ষিকা
ছোটবেলা থেকে উত্তরবঙ্গে বড় হওয়া। বাবার কর্মসূত্রে পড়াশোনা ফারাক্কাতে। মালদা উইমেন্স কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন, পরবর্তীতে কর্মসূত্রে শিলিগুড়ি যাওয়া। সেখানেই মিশন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন পলি। পরবর্তীতে আবারও বাবার কর্মসূত্রে বারাসাতে আসা। সেই কারণে শিক্ষকতার চাকরি ছাড়তে হলেও কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা ও চেষ্টা থেকেই গিয়েছিল তাঁর মধ্যে।
ছোটবেলা থেকেই মডেলিং, গ্ল্যামার জগত আকৃষ্ট করত পলিকে। কিন্তু কোনও দিন ভাবেননি এই সাফল্য তিনি ছুঁতে পারবেন। এরপর বিয়ে হয়ে যায় পলির। অশোকনগরের শ্বশুরবাড়িতে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। তবে হেঁসেলে আটকে থাকা নয়, কিছু করে দেখানোর লড়াই থেকে এরপর ফের গ্ল্যামার জগত ও র্যাম্পে হাঁটার সাহস দেখান এই গৃহিণী।
মায়ের এই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে সব রকম ভাবে পাশে থাকছেন মেয়ে সম্প্রীতি ঘোষ। স্বামী অতনু ঘোষও সবরকম ভাবে স্ত্রীকে এগিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি জুগিয়েছেন। ইতিমধ্যেই চলতি বছর মিস অ্যান্ড মিসেস বেঙ্গল কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে বাংলার সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন গৃহবধূ পলি ঘোষ। এরপর আরও একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেন অশোকনগরের এই গৃহিণী। গ্ল্যামার জগতের অন্যতম নামি স্বীকৃতি দাদা সাহেব ফালকে টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট দেশলাই বাক্সেই ৭৮ জন বীর বিপ্লবী! প্রাথমিক শিক্ষক যা করলেন… ‘ট্যালেন্ট’ দেখে মুগ্ধ সকলে
মিসেস বেঙ্গল হওয়ার পরেই বিশেষ কমিটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার জন্য পলিকে নির্বাচিত করেন। মনিকা বেদীর হাতে বলিউড সুপারস্টার, দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় বাংলার এই সুন্দরীর হাতে।
টলিউড অভিনেতাদের উপস্থিতিতে বাংলার সেরা সুন্দরী হওয়ার ক্রাউন আগেই মিলেছিল। এবার পলির লক্ষ্য আরও বড়। তাঁর দু’চোখ জুড়ে মিসেস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন। পলি জানান, অশোকনগরে যখন আসি তখন আমায় কেউ চেনে না। নিজের রান্না-সংসার নিয়েই থাকতাম। কিন্তু ভেতরে মনে হতো কিছু একটা করি যেখানে মানুষ আমাকে চিনবে, জনপ্রিয় হব। তাই হয়তো ঈশ্বর আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও পলি ভাইরাল। মাকে গ্ল্যামার জগতে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনে ক্যামেরাও ধরতে হয় মেয়ে সম্প্রীতিকে। সেও এবার মাধ্যমিকের ছাত্রী। মায়ের এই সাফল্যে আজ তিনিও বেশ গর্বিত। সংসার সামলে নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত রিল ভিডিও ও পাবলিক কমিউনিকেশন বজায় রেখে চলেছেন গ্ল্যামার জগতের নতুন স্টার অশোকনগরের গৃহিণী পলি ঘোষ।