গুড় তৈরি করার জন্য সংগ্রহ করতে হয় খেজুরের রস তাই আগের দিন গাছে হাঁড়ি বেঁধে রাখেন শিউলিরা। পরের দিন কাক ভোরে উঠে খেজুর গাছ থেকে সেই রস সংগ্রহ করে তারপর আগুনের ধিমে আঁচে সেই রস ফুটিয়ে সুস্বাদু খেজুরের গুড় প্রস্তুত করেন শিউলিরা। শীতকালে শিউলিরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যান গুড় প্রস্তুত করতে। পুরুলিয়া জেলাতেও শিউলিরা এসেছে সুস্বাদু খেজুরের গুড় তৈরি করতে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খালি পেটেই কেন সুগার টেস্ট? খাওয়ার পরে ফের কেন রক্ত নেওয়া হয়? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে পারেননি
বাঁকুড়া জেলার ইন্দপুর থানার অন্তর্গত সাতসইরা গোড়াবাড়ি থেকে শিউলিরা হাজির হয়েছে পুরুলিয়ার বরাবাজারে। তারা আসায় খুশি বরাবাজার শহরের বাসিন্দারা। শীতের এই সময়টাতেই টাটকা এবং সুস্বাদু খেজুরের গুড় হাতের নাগালে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র খেজুরের গুড় নয় পাশাপাশি সুস্বাদু টাটকা পাটালিও পাওয়া যায় শিউলিদের কাছ থেকে।
এ প্রসঙ্গে এক শিউলি জানান, ৪-৫ বছর ধরে তিনি গুড় তৈরির কাজ করছেন। বছরের অন্যান্য সময় অন্যান্য কাজ করে থাকলেও এই শীতের সময় গুড় তৈরির কাজ করেন তারা। এতে মুনাফাও যথেষ্ট ভাল হয়। পাইকারি দরে খেজুর গুড়ের দাম ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
কম পরিমাণে নিলে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। শীতের দিনে যখন সকলে গরম পোশাক পড়ে, লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে সুখের নিদ্রায় মগ্ন থাকেন। সেই সময় পেটের তাগিদে ভিনজেলায় তারা আস্তানা গড়েন।খড়ের ছাউনি বিছিয়ে কোনও রকমে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যান তারা। আর তাদের এই প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় ভোজন প্রিয় মানুষদের জন্য সুস্বাদু খেজুর গুড়।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি