আধুনিকতার যুগে এখন চল কমেছে আর্ট পেপারে আঁকা বড় রোলিং পটের। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন শাড়ি, ওড়না, টি শার্ট প্রভৃতি জিনিসের উপরেও পটচিত্র আঁকা হচ্ছে । পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপের হস্তশিল্প মেলায় দেখা মিলল এরকমই এক পটচিত্র শিল্পীর। সেখানেই মিলল এই নতুন নতুন জিনিসের ওপর আঁকা পটচিত্র। তবে আর্ট পেপারের পাশাপাশি টি শার্ট, ওড়নাতেও পটচিত্র আঁকার কারণ প্রসঙ্গে শিল্পী হারু চিত্রকর জানান,আমরা আমাদের জীবিকা অর্জনের জন্য বা সংসারকে বাঁচানোর জন্য বড় রোলিং পট তৈরি করতাম । কিন্তু প্রত্যেকে এই রোলিং পট কিনতে পারত না এবং বাড়িতে টাঙানোর মত জায়গা থাকত না ।
advertisement
আরও পড়ুন: আবাক কাণ্ড! বাংলার মাটিতে জাপানের ফল, চাহিদা মেটাতে হিমশিম বিক্রেতারা
আমরা পটচিত্র বাজারে বিক্রি করার জন্য এবং মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য ট্রে ,টি শার্ট ,ওড়না, শাড়ি ,পাঞ্জাবি, শাড়ির মধ্যে পটচিত্র এঁকে বাজারে বিক্রি করছি ।পটচিত্র আঁকার জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি রং ব্যবহার করা হয়। যেমন, গাছের সিম দিয়ে তৈরি সবুজ রং, ভুসোকালি দিয়ে কালো রং, অপরাজিতা ফুল দিয়ে নীল রং, সেগুন গাছের পাতা দিয়ে মেরুন রং ইত্যাদি। তবে এখন টি শার্ট, ওড়না এইগুলোর মধ্যে কিন্তু প্রাকৃতিক রং করা হয় না। এই জিনিস গুলোর মধ্যে আঁকার জন্য ব্যবহৃত হয় ফেব্রিক রং। আর এই ফেব্রিক দিয়ে আঁকা টি শার্ট, ওড়নার চাহিদাও এখন ব্যাপক।
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকায় শুরু, একদিনের ভাবনায় মাসে রোজগার বেড়ে ৩০,০০০! কী ব্যবসা করছেন দম্পতি?
অনেকেই এই নতুন ধরনের পটচিত্রকে আপন করে নিয়েছেন। একটা সময় ছিল যখন পটুয়ারা তাঁদের আঁকা পটচিত্র নিয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পটের গান শুনিয়ে রোজগার করতেন। কিন্তু এখন বিভিন্ন মেলাতেও এই পটুয়াদের তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে দেখা যায় । আর এভাবেই আধুনিকতার যুগেও তাদের শিল্পকে টিকিয়ে রাখছেন পটুয়ারা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





