হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকটাই ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের। ৯ কিলো ওজন কমেছে কেষ্ট মণ্ডলের। আগে তাঁর ওজন ছিল ১০০ কিলো, বর্তমানে তাঁর ওজন দাঁড়িয়েছে ৯১ কিলোতে।
এদিন জেল থেকে বের হওয়ার সময় এবং হাসপাতালে ঢোকার পথে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শারীরিক অবস্থা তার ভালো না। প্রায় এক ঘন্টা ধরে হাসপাতালে ইমার্জেন্সির পাশে স্পেশ্যাল অবজারভেশন রুমে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। হাসপাতাল সুপার ইনচার্জ উত্তম কুমার রায় বলেন এই মুহূর্তে ওনাকে ভর্তি করার মত ইমারজেন্সি নেই। বা উনি নিজেও ভর্তির ব্যাপারে কিছু বলেননি। ফিসচুলা রাপচার হয়েছিল। তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বাকি সবই নর্ম্যাল রয়েছে। এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ৯১ কেজি। শরীরের সুগারের পরিমাণ ১১১ মিলিগ্রাম। প্রেসার ১৩০/ ৮০। পালস রেট ৮৩। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৯। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে যখন অনুব্রত মণ্ডল এসেছিলেন তখন তার ওজন ছিল ১০০ কেজি অর্থাৎ এই তিন মাসে আরো ৯ কেজি ওজন তার কমেছে। অগাস্ট মাসে তিনি যখন প্রথম এসেছিলেন তখন ওজন ছিল ১১৫ কেজি। অর্থাৎ জেলে আসার পর মোট ২৪ কেজি ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অফিসে এলেও কাজ করব না', আইনের ফাঁক গলে কর্মবিরতিতে সায়? বাংলায় কী ঘটতে চলেছে?
প্রসঙ্গত, সমবায় ব্যাংকের যে ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি সিবিআই পেয়েছিল তার ১১৫ অ্যাকাউন্টের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট আদালতের কাছে জমা করেন অফিসাররা। তা দেখে বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারক বলেন, এক একটি লেনদেন ৫ লাখ বা ৬ লাখ টাকা করে হয়েছে। এবং বারবার হয়েছে। জানা গিয়েছে, টাকা হাত ঘোরাতে যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে মূল পাঁচটি অ্যাকাউন্ট টাকা গিয়েছিল। সেই পাঁচটি অ্যাকাউন্ট কোনও প্রভাবশালীর নয়, রাইস মিলের হতদরিদ্র শ্রমিকের। সেই ৫ শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিললে টাকা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও বিপদে অনুব্রত! ৫ শ্রমিককে নিয়েও রহস্য
জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু করার পরই এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয় এবং সেগুলিকে বাফার অ্যাকাউন্টের বদলে ফেলা হয়। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই।