তবে সিবিআইয়ের এই কাজ চলার ফাঁকেই অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। সে রকমই মুখ খুলেছেন বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কাজী নুরুল হুদা। যদিও বর্তমানে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, তাঁকে অনুব্রত মণ্ডল জেল খাটিয়েছিলেন। কিন্তু কেন জেল খাটিয়েছিলেন? ওই প্রাক্তন নেতার দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য তোলা আদায় করে দিতে না পাড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে জেল খাটানো হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের বিতর্কে অভিনেত্রী সুদীপা, ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে এ কী সাংঘাতিক মন্তব্য! নিন্দার ঝড়
কাজী নুরুল হুদা জানিয়েছেন, একদিন বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতে যে সকল কাজ হচ্ছে সেই কাজের ১৩ শতাংশ টাকা সরিয়ে রাখতে হবে। সেই টাকার মধ্যে ৪% পার্টি অফিসে, ৬% পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং বাকি ৩% নিজের অর্থাৎ নুরুল হুদার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কাজী নুরুল হুদা রাজি হননি এবং তিনি অনুব্রত মণ্ডলের থেকে বারবার এ ভাবে চাপ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে বাংলায় ফের দুর্যোগের পূর্বাভাস, সপ্তাহজুড়ে তুমুল বৃষ্টি জেলায় জেলায়
নুরুল হুদার দাবি, অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয় এবং তাঁকে এবং ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দেওয়া হয় মাদক সংক্রান্ত ব্যাপারে। এই ঘটনায় তাঁরা দু'জনে এক বছর জেল খাটেন বলে জানিয়েছেন এবং তারপর জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর বর্তমানে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেন না। কাজী নুরুল হুদা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। প্রথম দিকে তিনি কংগ্রেস করতেন এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকার অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।
Madhab Das