সায়ন্তিকার অভিযোগ, অভিযুক্তদের বক্তব্য রাস্তার ধারে বা তাদের বাড়ির সামনে সারমেয়দের খাবার দেওয়া যাবে না। এমনকি রেলের জমির উপর, যেখানে তারা এতদিন ধরে খাবার দিয়ে আসছেন, সেখানেও খাবার দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এদিকে অভিযুক্তদের দাবি, তারা ওই জায়গা পরিষ্কার রাখেন, তাই সেখানে খাবার দেওয়া যাবে না। অথচ, উক্ত জমিটি রেলের এবং সেখানে খাবার দেওয়ার জন্য রেলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তি জানানো হয়নি।
পশুপ্রেমী সায়ন্তিকা বিশ্বাস
সায়ন্তিকা আরও জানান, অভিযুক্তরা পরামর্শ দেন যেন কুকুরদের রেললাইনের মাঝে খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু সেই জায়গায় খাবার দিতে গেলে ট্রেন চলাচলের সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই অমানবিক ও বিপজ্জনক প্রস্তাবের বিরোধিতা করাতেই অভিযুক্তরা গালিগালাজ ও মৃত্যুর হুমকি দেন বলে দাবি করেন তারা।
যদিও অভিযুক্ত মেনকা বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘একথা সত্যি নয় আমরাও কুকুরকে ভালবাসি। কুকুরকে আমরাও খেতে দি, ওরা আজ দু’দিন ধরে দিচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কুকুরদের খেতে দিই। তারপরেও ওরা একদম বাড়ির সামনে খাবার দিয়ে যায়। এঁটো সমস্ত আমাদের পরিষ্কার করতে হয়। এগুলো তো ঠিক নয়, আমরা বলেছি যে হয় এই পাশে দিতে না হলে অন্য পাশে দিতে। রেললাইনের আশেপাশে খাবার দিলে হতে পারে আচমকা ট্রেন আসলে কোনও একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তাদের। এইটুকু বলেছি বলে আমার দোষ হয়েছে। কুকুরদের খেতে দেওয়াতে আমাদের কোন বাধা নেই শুধু বলেছি বাড়ির সামনেটা না দিতে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস জানান, ‘একদিকে ভাল আরেকদিকে খারাপ। সারমেয়দের খেতে দেওয়া খুবই ভাল কিন্তু সেটি যদি কারোর বাড়ির সামনে দেওয়া হয় সেটা এক পাশে নির্দিষ্ট জায়গায় করা উচিত কিন্তু তাই বলে তাদেরকে খেতে দিতে বাধা দেওয়া উচিত নয়। আবার সামান্য এই গন্ডগোল নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করাও ঠিক নয়। আমি সবই শুনেছি আমার কাছে তারা যদিও আসেনি। এটা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া উচিত’।
এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পশুপ্রেমী মহলের একাংশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।