কৃষ্ণা শীল একাই ডাঙ্গাপাড়া সেন্টার চালাচ্ছিলেন। এই সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ জন শিশুর খাবার রান্না হয়। কিন্তু বিগত প্রায় ৮-৯ মাস এই সেন্টারে দ্বিতীয় আর কোন কর্মী না থাকায় ওই স্কুলটি খোলা থেকে বন্ধ পর্যন্ত সমস্ত কাজই তাঁকে করতে হচ্ছিল এমনই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
মাস আটেক আগে একমাত্র সাহায্যকারী অবসর গ্রহণের পর নতুন করে আর কাউকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়নি বা নতুন কোন কর্মীকে পাঠানো হয়নি। যার ফলে একা এই সেন্টারের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।
এদিন দুপুরের দিকে মিড ডে মিল রান্না করছিলেন কৃষ্ণা শীল। অসাবধানতায় রান্নাঘরের উনুনের আগুন তাঁর শাড়িতে লেগে যায়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন, এবং দিদিমণির শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। তবে, দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয় শিশুদের চিৎকার। তাঁদের আর্তনাদে ছুটে আসেন স্থানীয়রা এবং তৎক্ষণাত কৃষ্ণা শীলকে উদ্ধার করে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই অগ্নিকাণ্ডের দায়ভার কার? এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই দুর্ঘটনার পর কোন পদক্ষেপ নেয় কিনা।
সুস্মিতা গোস্বামী