আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে উল্টে গেল পাট বোঝাই লরি, ঘটনাস্থলেই মৃত ২
কালিদহ ও মাকড়দহ নামের দুটি পরিখা দিয়ে ঘেরা ময়নাগড়। গড়ের রাজপরিবারের গোবর্ধন বাহুবলীন্দ্র ১৫৬১ সালে কালীদহের তীরে কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ মন্দিরে প্রথম রাসমেলা শুরু করেন। সেই থেকে বাহুবলীন্দ্র পরিবারের উদ্যোগে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭০ সাল থেকে স্থানীয় মেলা কমিটির উদ্যোগে এই রাসমেলা হয়ে আসছে। ২০১২ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে গঠিত হয় ময়না রাসমেলা কমিটি। এটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রাচীন মেলা।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
উৎসবের পরম্পরা অনুযায়ী অঘ্রাণ মাসের শুক্লপক্ষের উত্থান একাদশীর দিন থেকে পরপর আট দিন শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর জিউ রাজবাড়ির মূল মন্দির থেকে নৌকা বিহারে কালীদহের ৫০০ মিটার লাবণ্যময় জল পরিক্রমণ করে ময়না রাস মন্দিরে প্রবেশ করবেন। কেবলমাত্র পূর্ণিমার দিন সন্ধে ৬ টার সময় রাজবাড়ির কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ ফিরে যাবেন মূল মন্দিরে। শেষ রাসযাত্রা ১ ডিসেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বিকেলে ঢাক-ঢোল, কীর্তন, আতশবাজি, বাতাসা লুট সহযোগে রাস মন্দির থেকে নৌকা বিহারে রাজবাড়ির মূল মন্দিরে ফিরে যাবেন ঠাকুর। ঠাকুরের নৌকা বিহার বন্ধ হলেও মেলা চলবে আরও এক সপ্তাহ।
ময়নার রাস মেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মত বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মত কদমা মিষ্টি। ময়নার রাস উৎসব শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, সেই সঙ্গে লোকশিল্প ও কুটির শিল্পের বিস্তারেও ভূমিকা রাখে।
সৈকত শী