আরও পড়ুন: বহুতলে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে গেলেন নির্মাণ কর্মী! তারপর যা হল…
সেই সময়ের নন্দী বাড়ির দালানের সঙ্গে আজকের স্থাপত্যের পার্থক্য অনেকটাই। তবে প্রাচীন জমিদারি প্রথা মেনেই আজও পুজো হয় নন্দিবাড়ী দুর্গা দালানে। জমিদারি প্রথা না থাকলেও এখনও সেই ঐতিহ্যবাহী নাম রয়ে গেছে নন্দিবাড়ীর। গ্রামের মানুষ এই নন্দী বাড়ী নামেই চেনেন সবাই। তবে অন্যান্য সময়ে কেউ খোঁজ খবর না রাখলেও দুর্গা পুজোতে নন্দীর দালানে প্রতিমা দর্শন করতে একবারের জন্য হলেও আসেন গ্রামের বাসিন্দারা ।পাকা ইটের দেওয়াল চুন সুরকির গাঁথুনি উপরে ও কড়ি কাঠের পাটাতন। সেই প্রাচীন কালের তৈরি জমিদার বাড়ি । বেশিরভাগ অংশই প্রায় ভগ্নদশা ।কোন রকমে টিকে আছে এই দালান টুকু। একসময়ে দুর্গাপূজাতে এই নন্দীবাড়ির জমিদারের বংশধরেরা নিমন্ত্রণ করে গোটা গ্রামের ব্রাহ্মণ ভোজন ও নর নারায়ণ সেবা করতেন, এখন আর তা সম্ভব হয়নি ।
advertisement
আরও পড়ুন: মফস্বলের সাধারণ ডিগ্রি কলেজের ক্যাম্পাসিংয়ে TCS! ৩২ পড়ুয়ার চাকরি
পরিবারে সদস্য সংখ্যা বাড়লেও তা ছোট ছোট পরিবারে ভাগ হয়ে গেছে অনেকগুলি পরিবারে। পরিবারের অনেক সদস্যই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বা কলকাতায় কর্মসূত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন । এছাড়াও কেউ আবার কর্মসূত্রে পাড়ি দিয়েছে বিদেশে । তারা আর সেইভাবে এই জমিদার বাড়িতে যোগাযোগ রাখেনা। বর্তমানে কয়েকজন সদস্য হাটবসন্তপুর গ্রামের নন্দী বাড়িতেই থাকেন তারাই এই পুজোটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পরিবারের সদস্য প্রশান্ত কুমার নন্দী জানান, আমার বয়স প্রায় ৮০ বছর বাপ ঠাকুরদার আমল থেকেই দেখে আসছি আমাদের পুজো। নন্দী বাড়িতে দেবী দুর্গার রূপ হর পার্বতী এখানে শিব ও দেবী দুর্গার দুটি করে হাত । সঙ্গে থাকেন কার্তিক, গণেশ ,লক্ষ্মী, সরস্বতী,কলা বউ, জয়া ও বিজয়া তবে কোনো অসুরের মূর্তি থেকে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সপরিবারে এখানে বিরাজ করেন দেবী।
Suvojit Ghosh