কুড়ি বছর আগে নিছক শখ থেকেই শুরু হয়েছিল রেখা দেবীর এই কাজ। এখন তার প্রায় পঁচিশটি বাক্সে মৌমাছি প্রতিপালন চলছে। বছরে মিলছে প্রায় ৬০ কেজি মধু। বিক্রি করে জুটছে লাভের কড়ি। শুধু বাড়িতে নয়, আশেপাশে তিনটি জায়গায় বাক্স বসানো আছে। বাড়িতে আছে আটটি বাক্স। আম্বিডাঙর, গুড়দলা, বড়মোহনপুর তিনটি জায়গা মিলে প্রায় পঁচিশটি বাক্সে মৌমাছি প্রতিপালন করছেন রেখা মণ্ডল। মৌমাছি প্রতিপালন করে শুধু যে মধু পাচ্ছেন তা নয়, রানী মৌমাছি করে চাক সহ মৌমাছি বিক্রি করছেন এই বৃদ্ধা। প্রসঙ্গত কিছু করবার ইচ্ছে নিয়ে, নিজের জেদকে সঙ্গী করে শুরু করেন মৌমাছি প্রতিপালন। বর্তমানে যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: চারকোল থেকে টেরাকোটা, সব শিল্পকর্মেই সিদ্ধহস্ত নবম শ্রেণির পড়ুয়া
গত দুবছরে প্রায় চল্লিশটি বাক্স মৌমাছি সমেত বিক্রি করেছেন। যদিও এই বাক্স তথা মৌমাছি বিক্রির পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো রপ্ত করেন লকডাউনের সময়। তবে কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজে থেকেই এই শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। বাড়িতে স্বামী গৌরহরি মণ্ডল ও রেখা দুজনেই থাকেন। সংসারের কাজের ফাঁকে চলে মৌমাছি প্রতিপালনের খুঁটিনাটি কাজ। গত কুড়িবছর আগে খাকুড়দাতে বিজ্ঞান মেলাতে মৌমাছি প্রতিপালনের প্রদর্শনী হয়েছিল। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়েছিলেন বৃদ্ধা। সেই উৎসাহ থেকে প্রথমে দশটি বাক্সে শুরু করেছিলেন। তবে মধু বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন। আশাহত হন। পরে কমবেশি কাজ চালিয়ে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থতার জাদুকাঠি! কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তাল্পতা, কোলেস্টেরল দূর করে এই ফল
লকডাউনের পর নতুন উদ্যমে ফের কাজ শুরু করেছেন তিনি। একটি বাক্স থেকে পাঁচ-সাত কেজি মধু সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি মধু পাঁচশো টাকা কিলো বাজারে বিক্রি করেন। তবে বেশিরভাগ তার বাড়ি থেকেই লোকজন মধু কেনেন। মধুর পাশাপাশি মৌমাছিও বিক্রি হয়। এভাবেই বর্তমান যুব প্রজন্মের কাছে সত্তর বছর বয়সী রেখা মণ্ডল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষের কাছে।
রঞ্জন চন্দ