আরও পড়ুন: নৈহাটি ফেরিঘাটে যাবেন বড়মা-র দর্শনে, কী নামে টিকিট বুক করবেন, ফেরিঘাটের নামবদল
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম দুজিপুরে রয়েছে নিতাই চাঁদ ভূঁইয়া দাসের চপের দোকান। বয়স তার প্রায় ৭৩। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি এই চপ ভেজে নিজের সংসার চালাচ্ছেন। এখন তার দোকানের সহযোগিতা করেন তার সহধর্মিনী। তার কাছে রয়েছে আলু, মোচা, পনিরের চপ এমনকি বেগুনিও। যদিও সবটাই নিরামিষ। সকাল হোক কিংবা বিকেল নিরামিষ চপ খেতে বেশ ভালো ভিড় জমছে তার দোকানে। শুধু তাই নয় আশ্চর্যের, গরম তেলে হাত চুবিয়ে চপ কিংবা বেগুনি ভাজছেন এই বৃদ্ধ। এটাই তার দিনের পর দিন অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এলাকার ডন এখন ভোলানাথের বাহন! ষাঁড়ের ভয়ে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর
প্রসঙ্গত, বাঙালির প্রধান কয়েকটি খাবারের মধ্যে অন্যতম মুড়ি তার সঙ্গে মুচমুচে গরম চপ। যখন একটা চপ পাওয়া যেত সামান্য পাঁচ পয়সায় তখন থেকেই তার এই দোকান। প্রায় ৫০ বছর ধরে রীতিমতযুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করছেন চপ। রাস্তার ধারে তার এই দোকানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক চপ ভাজেন তিনি। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন তার কাছে চপ খেতে।
স্বাভাবিকভাবে টগবগে ফুটন্ত তেলে হাত চুবিয়ে তার চপ ভাজা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে ৫০ বছর ধরে সংসার চালাতে তার চপ বিক্রি এবং তার প্রতিদিনের দিনযাপনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ