তাঁর বয়স ৭৫ পেরিয়েছে, স্ত্রীর বয়স নাই নাই করে অর্ধশতক অনেককাল আগেই কেটেছে। তবে প্রতিদিনের রুটিনে যেন কোনও বিরাম নেই। খাতা আর পেন নিয়ে বসে পড়া অবসরে। স্বামী এবং স্ত্রী দুজনে মিলে লিখে চলেন নানান লেখা।
একজন লেখেন, অপরজন ধরিয়ে দেন ভুল। এভাবেই দীর্ঘ বেশ কয়েকটা দশক কাটিয়ে ফেলেছেন এই দম্পতি। বয়স তার ৭৫ পেরোলেও এখনও নিয়ম করে বিভিন্ন অনুগল্পের বই লেখেন। বই লেখা এবং প্রকাশনায় সর্বতো সহযোগিতা করেন তা স্ত্রী। স্ত্রীর সম্পাদনায় বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রকাশ করছেন অনুগল্পের পত্রিকাও।
advertisement
আরও পড়ুন- ফের সুন্দরবন থেকে মিলল চেন্নাইয়ের নিখোঁজ ব্যক্তি, ঘরে ফেরাল এলাকাবাসী
পেশাগতভাবে তিনি কখনও যুব কল্যাণ দফতরে চাকরি করেছেন, কখনও আবার ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। যুবক বয়সে অধিকাংশ সময়ে খেলাধুলা নিয়ে কাটলেও ছোট থেকেই তার লেখালেখির হাত। প্রথম জীবনে আকাশবাণীর যুববাণী অনুষ্ঠানে তার স্বরচিত কবিতা পাঠ হলেও সে অর্থে উৎসাহ পাননি।
নিজের ইচ্ছেতেই লিখতেন নানা লেখা। তবে অবসর জীবনে স্থানীয় একটি পত্রিকায় অনুগল্পের ধারাবাহিকভাবে লেখার কারণে তিনি শুরু করেন অনুগল্প লেখার কাজ। এরপর প্রখ্যাত মানুষজনের সান্নিধ্যে এসে তিনি লিখেছেন বেশ কয়েক শতাধিক অনুগল্প। শখের বসে লিখেছেন কবিতাও।
আরও পড়ুন- কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ! গোবিন্দভোগ চাষেই, জানুন বিস্তারিত
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা অসিতবরণ বেরা এবং তার স্ত্রী অঞ্জলি বেরা। একে অপরকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন একাধিক অনুগল্পের বই। প্রতিবছর ষান্মাসিক অনুগল্পের পত্রিকাও প্রকাশ করেন এই দম্পতি। বাড়িতে নিজের বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে তিনি লেখেন নানা গল্প। তার পাশে বসে তাকে লেখায় সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী অঞ্জলি।
গল্পের কাল্পনিক চরিত্রের মতবাস্তবেও এই বৃদ্ধ দম্পতি কাটিয়ে চলেছেন এক একটি দিন। লিখে চলেছেন একাধিক ছোট গল্প। তার অনুগল্পের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বাস্তবধর্মী নানা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেও ডিজিটালাইজেশনের যুগে এই বৃদ্ধ দম্পতির সংস্কৃতিচর্চাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ