একদিকে যেমন মন্দিরের গঠনশৈলী, তেমনই আচার অনুষ্ঠানেও বেশ আড়ম্বরতা রয়েছে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন ঠাকুরবাড়ি আজও সেই স্মৃতি বয়ে চলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার কুসুমদা অঞ্চলের আস্তি গ্রামে রয়েছে একটি সুপ্রাচীন ঠাকুরবাড়ি। যেখানে আজও নিয়ম মত নিত্যপুজো হয়ে আসছে। এখানে পূজিত হন রঘুনাথ জীউ। তবে কালের নিয়মে সেই ঠাকুরবাড়ির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। এই ঠাকুরবাড়ির অবস্থান এবং প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা মত প্রচলিত থাকলেও বহু বর্ষ প্রাচীন এ মন্দির একটি ইতিহাসের প্রাণকেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন – Ind vs Pak: সামনে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, তাও মেগা ম্যাচের আগে নিজের দলের স্ট্র্যাটেজি একেবারে ফাঁস
প্রচলিত রয়েছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে এক বৈষ্ণব ভিক্ষুক এই আস্তি গ্রামে লাটা বনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন। সেখানেই গড়ে তুলেছিলেন রঘুনাথ জীউর মন্দির। তবে মন্দিরের গঠনশৈলী আপনাকে বেশ আকর্ষণ করবে। পরম্পরায় এখানে পুজো করে আসছেন সেবাইতরা।
জানা যায়, মন্দির প্রতিষ্ঠার পর নবাবী আমলে এই মন্দিরের নামে বেশ কয়েক বিঘা জায়গা থাকলেও বর্তমানে সেই পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। প্রতিদিন নিত্যপুজা হলেও কোনও বড় অনুষ্ঠান হয় না এখানে। তবে গ্রামবাসীদের আরধ্য দেবতা এই রঘুনাথ জিউ। জমিদারী আমলে এই এলাকায় শুরু হয় ধুমধাম করে পূজার্চনা, নাম সংকীর্তন এবং রাসলীলা। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন ঠাকুরবাড়িতে পুজোর অনুষ্ঠানে।
এখনও বহু মানুষ প্রচলিত বিশ্বাস নিয়ে প্রতিদিন আসেন এখানে। চারিদিকে সবুজে ঘেরা জঙ্গলাকীর্ণ জায়গার মধ্যে এই মন্দির। প্রাচীনত্ত্বের ছাপ স্পষ্ট। ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে মন্দির। তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন সকলে। তবে বিশ্বাস এবং আধ্যাত্বিকতার মেলবন্ধনে আজও প্রায় ৫০০ বছর ধরে নিজের ইতিহাসকে জিইয়ে রেখেছে এই ঠাকুরবাড়ি।
রঞ্জন চন্দ