আদিবাসীদের বাড়ি গেলেই দেখা যায় তাঁদের হাতের তৈরি আলপনা, বিভিন্ন শিল্প শৈলী যা আমাদের সকলের মন মোহিত করে তোলে। রীতিমতো তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে অনবদ্য শিল্প যা এক কথায় বলা যায় জাদু। এবার আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের হাতের তৈরি শিল্প শৈলী পৌঁছে যাবে সুদূর আমেরিকায়। রীতিমতো তারা উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে এ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি? নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই যা জানালেন আধিকারিক
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের ফুড এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধার চন্দ্রশেখর কুন্ডু জানান, ”আমেরিকার আটলান্টা শহরে বসবাস করেন কর দম্পতি। তাদের পুজোর মণ্ডপ সেজে উঠবে আসানসোলের আদিবাসীদের হাতের তৈরি চালচিত্র ও গহনার ডিসাইনের মধ্য দিয়ে। তাঁদের হাতের তৈরি কাজকে আরও সুন্দর করে তুলতে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন চিত্রশিল্পী সুমিত কুমার গাঙ্গুলি ও চন্দ্রিমা রায় চৌধুরী। কর দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে যুক্ত পাশাপাশি তাদের দুই মেয়ে রিমঝিম ও বৃষ্টি কর আমাদের সঙ্গে সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শান্তনু কর ও ইন্দ্রানী কর তারা কলকাতার বাঘা যতীনের বাসিন্দা তবে কর্মসূত্রে আমেরিকার আটলান্টা শহরে বসবাস করেন। কর্মব্যস্ততার কারণে প্রত্যেক বছর আসা হয়ে উঠে না ভারতে। তবে তারা ওখানে থেকেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আসানসোলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুড এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকেন। তাই এবারে তারা দুর্গাপুজোয় গ্রামীণ আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে অভিনব ভাবনা ভেবেছেন। দীর্ঘ চার বছর থেকে আমেরিকার আটলান্টা শহরের বাড়িতেই দুর্গাপুজো আয়োজন করে আসছেন তারা। এবারে তাদের পুজোর থিম ‘প্রান্তিক নারীদের জন্য স্বনির্ভরতার অঙ্গীকার’।
এই থিমের মাধ্যমে তাঁদের বাড়ির পুজোকে ফুটিয়ে তুলবেন আসানসোলের বিভিন্ন এলাকার আদিবাসীদের নিজেদের হাতে তৈরি দেওয়াল অঙ্কন, মায়ের সাজসজ্জা, চালচিত্র, গহনার নকশা সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র দিয়ে। আদিবাসী মহিলাদের হাতের তৈরি এই জিনিসপত্র আমেরিকার আটলান্টা শহরে পাড়ি দেওয়ায় রীতিমতো খুশিতে আত্মহারা মহিলারা।