যে বয়সে অন্যান্য শিশুরা ঠিক মতকথা বলতে পারে না। সেই বয়সেই বিভিন্ন পশু পাখির ডাক থেকে অন্যান্য কথা শুনে শুনে বলতে পারত। অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গড়গড়িয়ে ছড়া বলা থেকে নামতা, ইংরেজির অক্ষর সবকিছুই তার ঠোঁটস্থ। নিমেষেই বলতে পারে বিভিন্ন দেশের ফ্ল্যাগ দেখে দেশের নাম, ইংরেজিতে বারো মাসের নাম, সপ্তাহের সাত দিনের নাম, ছটি ঋতুর নাম, বিভিন্ন কবিতা সহ একাধিক বিষয়ে আধো আধো কথায় নিমেষেই বলে ছোট্ট জিনিয়া।
advertisement
দু’মাস আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ‘ এ নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য সমস্ত কিছু পাঠানো হয়। এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে অবশেষে বাড়িতে এল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর পুরস্কার। সংস্থার পক্ষ থেকে জিনিয়ার জন্য পাঠায় একটি সুদৃশ্য মেডেল, এছাড়াও শংসাপত্র, সুদৃশ্য পেন সহ একাধিক উপহার। আর এই পুরস্কার আসার পরই মহিষগোট গ্রামের মান্না পরিবারে খুশির হাওয়া। ছোট্ট জিনিয়াকে দেখবার জন্য ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা। মা রুম্পা মান্না ও বাবা তুষার মান্না জানান, তাদের ছোট্ট মেয়ের এই প্রতিভা দেখে তারা সত্যিই অভিভূত।
আগামীদিন আরও কোন প্রতিযোগীতায় জিনিয়া তার নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারে তার চেষ্টা তারা করবেন। ছোট্ট বয়স থেকে জিনিয়ার এই অভাবনীয় প্রতিভার পেছনে মা রুম্পা মান্না সবসময় সময় দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বাবা, দাদু ঠাকুমাও বিভিন্নভাবে জিনিয়াকে সাধারণজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন – উত্তর শেখান। সবমিলিয়ে আড়াই বছরের কোলাঘাটের ছোট্ট জিনিয়া যে আগামীদিনে বড় হয়ে জিনিয়াস হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
সৈকত শী