আরও পড়ুন : আলিয়াকাণ্ডে সরগরম রাজ্য! ছাত্রনেতা গ্রেফতারে তোপ বিরোধীদের! পাল্টা দাবি তৃণমূলের
মহব্বত মণ্ডল ছুরিকাঁচি শানের দোকান কুলুট গ্রামে। বড় কষ্টে পড়াশোনা করিয়েছেন দুই ছেলেকে। গিয়াসউদ্দিন (Giasuddin Mandal) কুসুম গ্রামে তৈবা হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করে পরবর্তীকালে মেমারি মামন মিশন স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। মেধাবী ছাত্র হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিল সে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয় গিয়াসউদ্দিন। সে কথা বাড়িতেও জানিয়েছিল সে।
advertisement
গিয়াসউদ্দিনের বাবা এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারবারই বলেন, "কোনোদিনই ছাত্র রাজনীতিকে (Aliah University) বড় করে দেখিনি। বর্তমান যে শাসক দল তাদেরকেই সমর্থন করত সে। সারাদিন টিভিতে সব দেখেছি। তা দেখে আমি নিশ্চিত গিয়াসউদ্দিন চক্রান্তের শিকার। কেউ ছবি তুলে তা ভাইরাল করে দিয়েছে। উত্তেজনার বশে সে হয়তো খারাপ কথা বলেছে। কিন্তু উপাচার্যকে খুন করতে গিয়েছিল এ কথা মানতে পারছি না। ও সেরকম ছেলে নয়।"
প্রসঙ্গত, আলিয়া কাণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতির পারদ। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে হেনস্থার ঘটনায় রবিবারই গ্রেফতার হয় তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল। এরপরেই প্রকাশ্যে আসা ভাইরাল ভিডিও (Aliah University) নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় থেকে শিক্ষক সমাজ। ভাইরাল ভিডিয়োয় উপাচার্য মহম্মদ আলিকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ভাষায় কটূক্তি করতে শোনা যায় গিয়াসুদ্দিনকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে টেকনো থানার পুলিশ। এরপরেই এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
