পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়াশোনা আর করা হয়নি। মণ্ডপসজ্জা শিল্পকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে কাজ শুরু করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের কোলসর এলাকার যুবক পঞ্চানন। তাঁর তুলির টানে চাল, ছোট নুড়ি ও বোতলের ছিপি প্রভৃতির ওপর ফুটে ওঠে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরণের দেব-দেবী, মনীষী, বিখ্যাত মানুষ ও প্রকৃতির চিত্র। তবে দুর্গাপুজোর সময় মণ্ডপসজ্জার কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এই সময় দিনরাত এক করে দুর্গাপুজো মণ্ডপের কাজ চলে। তাঁর তৈরি মণ্ডপসজ্জা অসম ও কোচবিহারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে। রাত দিন এক করে সেটারই কাজ করে চলেছেন পঞ্চানন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলার বুকে একটুকরো আমাজন! গা ছমছমে রহস্যময় জঙ্গল, দেখা যাবে…! জেলার পুজোয় বড় চমক
শিল্পী জানান, আমাদের জেলার শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে তুলির টানে নানান জিনিস বানিয়ে, মণ্ডপসজ্জা করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দিতেই এই কাজ শুরু করা। বর্তমানে কাজের পরিসর বাড়ছে। একটু একটু করে মণ্ডপশিল্পী হিসেবে নামডাক হয়েছে। পুজোর সময় দম ফেলার ফুরসত থাকে না। এই বছর আবার বৃষ্টি কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। সামনেই পুজো তাই দিন রাত এক করেই কাজ করতে হচ্ছে।
পঞ্চানন আরও জানান, ভিনরাজ্য অসমের একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, নবদ্বীপ, কলকাতার একটি মণ্ডপের পাশাপাশি আরও দু’টি মণ্ডপের কাজ চলছে। পুজো যত এগিয়ে আসছে কাজের চাপ তত বাড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বছর ২২-এর পঞ্চানন ছোট থেকেই ছবি আঁকতেন। কিন্তু আঁকার কোনও প্রশিক্ষণ নেননি তিনি। নিজের মনের ভাবনা অনায়াস দক্ষতায় ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। সেই ছবি আঁকা তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। বর্তমানে মণ্ডপ শিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। ফলে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ বিভিন্ন পুজো ও অনুষ্ঠানে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বর্তমানে এলাকার ছেলেমেয়েদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মণ্ডপ শিল্পী হিসেবে কাজ করে চলেছেন পঞ্চানন। ছোটবেলার ছবি আঁকার নেশাই এখন তাঁর পেশা হয়ে গিয়েছে।





