কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে এইসব অবৈধ পাটাতন সরিয়ে দিয়ে খাল পরিষ্কার করা হোক। যাতে জমির জল খালে গিয়ে পড়ে এবং ফসলের ক্ষতি বন্ধ হয়। কৃষকদের কণ্ঠে ক্ষোভ স্পষ্ট। তাঁরা জানাচ্ছেন, “আমাদের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। জল না বেরোতে পারলে চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
আরও পড়ুনঃ অতিবৃষ্টিতে শুধু সবজি চাষিরা নন, চাপে এঁরাও! কীভাবে দিন কাটবে, বাড়ছে চিন্তা
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বছরের পর বছর ধরে এই কাটা খালই ছিল এলাকার প্রধান জল নিষ্কাশনের পথ। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজের স্বার্থে খাল বন্ধ করে মাছ চাষ শুরু করায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা চাষবাস। বর্ষার জল জমে থাকা ও বেরোতে না পারার কারণে অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে চাষের জমি ফেলে রেখেছেন। এতে একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা, অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদনেও প্রভাব পড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জল আটকে থাকায় মশার উপদ্রবও বেড়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পিফার কৃষকদের আবেদন, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা যেন দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করেন। স্থানীয় কৃষকদের ক্ষোভ, রাজনৈতিক মদতে কিছু ব্যক্তি এই খালে পাটা বসিয়ে বছরের পর বছর ধরে মাছ চাষ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই স্থানীয় মানুষ চাইছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।