পুজোর আগে সরকারি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ এলেও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি তাঁদের। তাই দুর্গাপুজোর পর অফিস খুলতেই বীরভূম জেলাপ্রশাসন তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে সুন্দরপুরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনার জন্য। সুন্দরপুর এলাকার বানভাসিদের কথা মাথায় রেখে বৈঠক হয় জেলাশাসকের দফতরে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় , সুন্দরপুরে বেশিরভাগ মানুষই আলু চাষি। তাই এই বন্যায় ভেসে গেছে তাঁদের জমি , দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলুচাষে। সে কথা মাথায় রেখে সরকার তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবে আলুচাষের জন্য বীজ।
advertisement
আরও পড়ুন : নীচের তলায় খুন হলে সিঁড়ির বাঁদিকের রেলিংয়ে রক্তের দাগ কেন? ব্যবসায়ী-খুনে এখনও একাধিক ধোঁয়াশা
এ ছাড়াও সুন্দরপুর অঞ্চলকে আনা হবে ‘দুয়ারে সরকার’-এর বিশেষ ক্যাম্পে, যাতে তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পায় ৷ হারিয়ে যাওয়া, ভেসে যাওয়া নথি পুনরায় তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও যাঁদের গৃহপালিত পশু বানের জলে ভেসে গিয়েছে তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। ওই অঞ্চল খতিয়ে দেখা হবে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেও।
আরও পড়ুন : ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসায় নতুন জীবন, ৭০০ গ্রাম ওজনের নবজাতককে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসক
অজয় নদের যে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, কালীপুজোর পরই তার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং ৭৫ দিনের মাথায় কাজ শেষ হবে, এমনটাই জানান জেলাশাসক বিধান রায়। এ ছাড়াও ওই অঞ্চলে সপ্তাহে দুদিন করে বসবে স্বাস্থ্যশিবির। নজর রাখা হবে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের উপরও। সরকার থেকে করে দেওয়া হবে চালাঘরের ব্যবস্থা, যাতে আশ্রয় নিতে পারবে ৭৫টি পরিবার। গ্যাসের ব্যবস্থাও করবে সরকার। এ ছাড়াও সামনে শীত আসছে, সে কথা মাথায় রেখে ৪৫০ জনকে দেওয়া হবে কম্বল ও শতরঞ্চি। কালীপুজো পেরোলেই অফিস খুলতেই আলোচনা অনুযায়ী শুরু হবে কাজ। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, লাভপুর বিধানসভার মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, লাভপুরের বিধায়ক-সহ আরও অন্যান্য বিভাগের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: পড়ুয়ার অভাবে ৯ বছর আগে বন্ধ হওয়া স্কুল ফের চালু করতে উদ্যোগ