একদা কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা। কয়েক বছর আগে হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক ছিল। তবে সাগরদিঘি বিধানসভা উপ নির্বাচনে পরে এবার বাড়তি অক্সিজেন যোগান দিচ্ছে কংগ্রেস শিবির কে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল তৃণমূল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করল পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ কয়েক হাজার দলীয় কর্মীরা।
advertisement
শনিবার বিকেলে খড়গ্রাম ব্লকের নগরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন খড়গ্রামের তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত, প্রাক্তন কিষান ক্ষেতমজুর তৃণমূল নেতা মুর্শেদ সেখ সহ একগুচ্ছ নেতাকর্মী । সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর কংগ্রেসে যোগদানের এই প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এই যোগদানকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা কে? ইডি-কে জানিয়ে দিলেন শান্তনু! তোলপাড়, এবার তবে কাকে ডাক?
খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিতের দিকে তোপ দাগেন। একসুরে আক্রমণ করে কটাক্ষ করেন বিধায়ক আশিস মার্জিতকে।
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, খড়গ্রাম থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলাতে তৃণমূলের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হল। তৃণমূলের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে কংগ্রেস। কংগ্রেস একমাত্র পারে তৃণমূল কে উচ্ছেদ করতে। আমরা আবেদন করব তৃণমূলের কর্মীদের কাছে, তারা যেন এবার ফিরে আসুক কংগ্রেস দলে। পাশাপাশি তৃণমূল কে এক সুরে আক্রমণ করে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হয়ে কোর্টের মধ্যেই বেনজির কাণ্ড ঘটালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি! বিজেপি নেতাকে দেখে অবাক সকলে
নগরের পীরতলায় শনিবার বিকেলে কংগ্রেসের এই যোগদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আবুল কাসেম, কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
তবে শুধু খড়গ্রাম ব্লকে না, শনিবার দুপুরে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সামনে বিভিন্ন দল ত্যাগ করে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেন দেড় হাজার দলীয় কর্মীরা। ভোটের আগে জেলায় আরও যোগদান হবে বলেই আশাবাদী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যদিও খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিতের দাবি, ২০২১সালে বিধানসভা নির্বাচনে দলের কাজই করেন নি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত। দুর্নীতি, একাধিক অভিযোগের কারণেই দল কোনঠাসা করেছে তাকে, বর্তমানে তিনি তৃণমূল দলের সঙ্গে সেই ভাবে যুক্ত ছিলেন না। দলত্যাগীদের উচ্ছিষ্ট বলেও কটাক্ষ করেন আশিস মার্জিত। তবে খড়গ্রাম ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাদক্ষের যোগদানের পরেই খড়গ্রামে শক্তিশালী হল কংগ্রেস দল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে হাত শিবিরকে।
---কৌশিক অধিকারী