দিনের বেলাতেও গা ছমছমে পরিবেশ ঘাটবকুলতলা পিএইচসির। তার মধ্যেই চলছে হাসপাতালের কাজ। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার কথা জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই স্বাস্থকেন্দ্রের উপর আশেপাশের ১০ থেকে ১৫ টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা নির্ভর করেন। হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার ফলে অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা।
advertisement
হাসপাতালে চিকিৎসক নেই বললেই চলে। মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে একদিন সেখানে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেন। ফলে হাসাপাতাল থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াই যায় না। তবুও স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন। চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়াও এই হাসপাতালে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই
হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার মাঝে হাসপাতাল চত্বর সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় সন্ধ্যার পর হাসপাতাল চত্বরে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা বাড়ে।
হাসপাতালের বিভিন্ন রুমের মধ্যে মদের বোতল থেকে শুরু করে একাধিক নেশার সামগ্রী পড়ে থাকে। ভাঙা হয়েছে হাসপাতালের দরজা জানালাও। হাসপাতালের এই বেহাল দশার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মথুরাপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গুণধর সরকার।
আরও পড়ুন- আগুনে ভস্মীভূত ক্যানিংয়ের বাল্ব কারখানা, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
হাসপাতালে আরও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দিলে ভালো হয় বলে জানায়িছেন তিনি। তবে হাসপাতালের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব স্থানীয়দের। সেই কাজ তাদের করা উচিৎ বলে জানিয়েছেন তিনি।
p style="text-align: justify;">নবাব মল্লিক