অভিষেক এ দিন অভিযোগ করেন, তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে এলেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতেন শুভেন্দু৷ অভিষেক বলেন, '২০১৪-১৫ সালে একবার পূর্ব মেদিনীপুরে এলাম৷ তখন একজনকে দিয়ে আমার উপরে হামলা চালালো৷ এর আগের বার যখন এলাম তার সাতদিন আগে থেকে একটা জোকার, চামচাকে দিয়ে সাতদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে প্রচার চালালো, হুমকি দিল৷ আমি কাঁথিতে এসে তাকে বলেছিলাম তোর বাবাকে গিয়ে বল৷' নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে অভিষেক আরও বলেন, 'আমি আপনার বাবাকে আক্রমণ করতে যাবো কেন? বয়সের জন্য শিশির অধিকারীকে আমি শ্রদ্ধা করি৷ কিন্তু কাজের জন্য নয়৷'
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমাকে ভাইপো বলে, নাম নেয় না!' কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের
যদিও এ দিন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেছেন অভিষেক৷ প্রশ্ন করেছেন, কেন বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগের আগে তাঁরা ইস্তফা দিলেন নাষ অভিষেক আরও দাবি করেছেন, কাঁথি, তমলুকে ভোট হলে তৃণমূলই জিতবে৷ কাঁথিকে অধিকারী গড় কেন বলা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক৷ তাঁর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর কাঁথিকে তৃণমূলের গড় বলা উচিত৷
আরও পড়ুন: 'তিন সেকেন্ড লাগবে, আমিও রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলতে পারি!' হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এ দিন শান্তিকুঞ্জের ঢিল ছোড়া দূরত্বে সভা করেন অভিষেক৷ সভা থেকে এ দিন আরও বলেন, 'এবার দুশো মিটারের মধ্যে এলাম, পরের বার কুড়ি মিটারের মধ্যে আসব৷'
কয়েকদিন আগে বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনিও শুভেন্দু অধিকারীর থেকে শিশির অধিকারীর শারীরিক খোঁজ নেন৷ এবার শিশির অধিকারীকে নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ শিশিরের সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য অবশ্য লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল৷