ওই লাগোয়া কলকারখানা, দ্রুত অন্যত্র আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসতেই, দমকল এবং পুলিশ কর্মীরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভাতে নেমে পড়েন। ঘটনাস্থলে পৌঁছোন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। কারখানায় তখন কাজ চালু ছিল বলেই জানা যায়। তখনও কুড়ি থেকে ত্রিশ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। আগুন দেখে সতর্কতার সঙ্গে কর্মীরা বেড়িয়ে আসে নিরাপদ স্থানে। আগুন নেভাতে জল এবং আগুনের দীর্ঘস্থায়ী কম করতে নেভানোর কাজে ফোম ব্যবহার করা হয়।
advertisement
এ প্রসঙ্গে ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, কয়েক ঘন্টার চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই কারখানায় আগুন নেভানোর যথাযথ ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরও বলেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আসবে ঘটনাস্থলে।
ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান গোড়াই খাঁন জানান, ‘‘এখানে একটি কারখানা আরেকটির পাশাপাশি যে কারণে আগুন লাগার ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই প্রত্যেক কারখানার যথাযথ নির্দেশিকা মেনে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।’’
কয়েক মাসে পরপর আগুন লাগার ঘটনা। আগুন লাগার ঘটনা কমাতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, কর আদায়ের সময় সরকারি নিয়ম মেনে কারখানা গুলি আগুন নেভানোর প্রকৃত ব্যবস্থা রাখছে কি না আগামী দিন থেকে তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলে জানান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান গোড়াই খাঁন।
রাকেশ মাইতি