এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পূরণের কাজ সারা বছর পালন করলেও মূলত পথের পাশে রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা আশ্রয় হীন মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়মিত দুবেলা দুমুঠো আহারের ব্যবস্থা করে থাকেন তারা।
তবে এ বিষয়ে এখন অনেক সচেতন নাগরিকই এগিয়ে আসেন। জন্মদিন হোক বা বিবাহ বা অন্য যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার নয় বরং আগেভাগেই সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের মানুষজনের সংখ্যা জেনে তারাই খাবার তুলে দেন। তবে ঝড়-বাদল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বছরের প্রত্যেকটা দিনই অত্যন্ত দায়িত্ব সহকারে তা পৌঁছে দেয় নবজাগরণের সদস্যরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন পালনীয় দিন জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিন তারা পালন করেন নিরাশ্রয়ী মানসিক ভারসাম্যহীনদের সঙ্গেই।
advertisement
যেকোনও উৎসবের আগে তাদের সাজিয়ে তোলা কিংবা তাদের জন্মদিন পালন করা এসব নিয়েই সারা বছরের একটি বড় পরিবার হিসেবে নানান রকম কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। সম্প্রতি এই শীত কালে আর পাঁচটা স্বাভাবিক মানুষজনের মতই চড়ুইভাতির ব্যবস্থা করে তারাও। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রণপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান. শুধু খাওয়াই নয় রীতিমত তারা জল এনে দেওয়া মসলা বাটা, তরকারি কুটে দেওয়া এ ধরনের নানা কাজে সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুনঃ South Indian Food: অল্প দামে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের নতুন ঠিকানা! ধোসার ভ্যারাইটি দেখলে মাথা ঘুরবে
অন্যদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও, তারাও জানিয়েছেন তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবার সদস্যদের বিতরণের ক্ষেত্রেই তাদের ঠাঁই হয়েছে শান্তিপুর রেলওয়ে প্লাটফর্ম। আজকের দিনে অতীতের কথা মনে করে মন ভার হলেও তারা খুশি নবজাগরণ সদস্যদের সঙ্গে এই বৃহৎ পরিবারে।
Mainak Debnath