ছোট থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। এই বছর পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছে সে। তাই পড়াশোনা করার তাগিদে নিজের বিয়ে বন্ধ করতে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে ওই নাবালিকা। খবর পেয়ে ভগবানগোলা থানার পুলিশ এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ভগবানগোলা থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় পরিবারের থেকে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয় ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না। ওই নাবালিকা বলে, আমি পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চাই। কিন্তু বাড়ি থেকে জোর করে আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না। আমাকে মারধর করেছে। তাই বিয়ে বন্ধ করতে আমি পালিয়ে আসি। আমি এখন বিয়ে করব না আরও পড়াশোনা করতে চাই।
advertisement
আরও পড়ুন- শাহরুখকে খুনের হুমকি! পরিবারের ‘কাছের লোক’ চেয়েছিলেন মেরে ফেলতে, কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও
আরও পড়ুন- ‘ট্রিপে যা হয়েছিল…’, কীভাবে দীপঙ্করের কাছাকাছি এলেন দোলন, ফাঁস হতেই তোলপাড়!
নাবালিকার মা বলেন, আমার মেয়ের কোথাও বিয়ে ঠিক হয়নি। ও মিথ্যা কথা বলছে। আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ নানান কৌশল অবলম্বন করা হলেও, লাগাতার প্রচার চালানো হলেও সচেতন হতে পারছেন না অনেক বাবা মায়েরাই। কিন্তু পড়াশোনা করার তাগিদে নিজের বিয়ে বন্ধ করার এই উদ্যম নজির তৈরি করবে সব মেয়ের কাছে।
বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়, আর সেই কারনেই পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকল এক নাবালিকা। ভগবানগোলা থানা এলাকার ওই নাবালিকার সঙ্গে সাগরদিঘির এক পাত্রের বিয়ে ঠিক করে পরিবারের লোকেরা। ১৪ বছর বয়সি হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী ওই নাবালিকার থেকে পাত্র ১২ বছরের বড়ো। বিয়েতে সে রাজি না থাকায় জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।