টহলরত পুলিশ ভ্যান এসে পৌঁছতে আধিকারিকদেরও রীতিমতো বিষয়টি ভয় ধরায়। তবে পেশার তাগিদেই, স্থানীয় মানুষদের নিয়ে ওই শব্দ অনুসরণ করে রাতের অন্ধকারে পৌঁছন রেললাইন পার্শ্বস্থ জঙ্গলের ঝোপে। টর্চের আলো ফেলতেই রীতিমতো আঁতকে ওঠেন সকলে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন যুবক। আর বাঁচার জন্যই করুণ আর্তি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বহরমপুরে হারলে রাজনীতি ছাড়বেন, মমতাকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ঘোষণা অধীরের
advertisement
এমন পরিস্থিতি দেখে দ্রুত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতেই হাসপাতালে পৌঁছে দেন গোবরডাঙ্গা থানার এএসআই সঞ্জয় ওঁরাও। পুলিশের অনুমান ট্রেন থেকে নিচের ঝোপের মধ্যে পড়ে গিয়েই এই অবস্থা যুবকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে এরপর হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। যুবকের প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে হাসপাতালে পৌঁছান রোগীকে।
বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি এবং পরিবারের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ওই আহত যুবককে। রাজবল্লভপুর এলাকার বছর একুশের আরুজ মন্ডল কী ভাবে সেই দিন ওই জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় আসলেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের এদিনের এই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকেও দুর্ঘটনার কবলে পড়া মানুষদের সাহায্যে সাধারণ মানুষকে দ্রুত এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমান সমাজে অনেকেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ পরিস্থিতিতে, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে থাকেন। যাতে সেই মানসিক পরিস্থিতির বদল ঘটে তারই বার্তা তুলে ধরেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকও। শ্মশান এলাকার শব্দে ভয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে প্রাণে বাঁচল যুবক।
Rudra Narayan Roy






