উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, যেসব মানুষের বহুদিন ধরে কাশী-বেনারস দেখার ইচ্ছে রয়েছে কিন্তু নানা কারণে যেতে পারেননি, তাঁদের জন্যই এ বিশেষ উদ্যোগ। তাহেরপুরেই তাঁরা যেন বেনারসের আবহ উপভোগ করতে পারেন, সেই ভাবনা থেকেই গড়ে উঠেছে এই থিম।
পুজো মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে এক কৃত্রিম জলাশয়, যেখানে গড়ে তোলা হয়েছে গঙ্গার ঘাটের আদল। সুদূর বেনারস থেকে আনা হয়েছে পুরোহিত, যারা প্রতিদিন সন্ধ্যায় মণ্ডপে গঙ্গার আরতি করবেন। গঙ্গাপাড়ের আসল পরিবেশ ফুটিয়ে তোলার জন্য বিশেষ আলোকসজ্জা ও সজ্জায় সাজানো হয়েছে চারপাশ।
advertisement
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় দু’মাসের কঠোর পরিশ্রমে এই মণ্ডপ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। শিমুরালির স্বনামধন্য এক শিল্পীর হাতে প্যান্ডেলটির শিল্পসম্মত রূপায়ণ করা হয়েছে, আর বনগাঁ থেকে আনা হয়েছে প্রতিমা।
আরও পড়ুন- পুজোর দারুণ চমক দিলেন সৌমিত্র খাঁ! এমন কোথায় গেলেন বিজেপি সাংসদ! চমকে উঠবেন শুনে
পুজো মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বেলুড় মঠের মহারাজ। উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। সন্ধ্যা নামতেই গঙ্গারতির ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও আলোকছটায় মণ্ডপ প্রাঙ্গণ ভরে উঠছে ভক্তিমূলক আবহে। দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন, তাহেরপুরে এসেই তাঁরা যেন সত্যি বেনারসের রূপ ও অনুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন। এ বছরের পুজো তাই শুধু দর্শনীয় নয়, ভক্তি আর আধ্যাত্মিকতার এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে।