প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী তিনি। সেখানে চাকরির সুবাদে ফিজিওথেরাপি এবং নার্সিং ট্রেনিং নিয়েছিলেন। ১৫ বছর চাকরি করে ১৯৮৮ সালে অবসর নেন। তারপর সৌদি আরবে কয়েক বছর চাকরি করেন। গত ১০ বছর ঘুরে ঘুরে মানুষের ব্লাড প্রেসার মেপে বেড়াচ্ছেন। ১০ টাকা নেন প্রেসার মেপে তার সঙ্গে পাঁচ টাকা পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপেন। রক্তচাপ কমা বাড়া হলে শারীরিক অসুস্থতা বোঝা যায়। সেই বিষয়টাই অনেকে অবহেলা করেন। প্রেসার মেপে মানুষকে সতর্ক করেন সচেতনও করেন। প্রেসার কম বেশি দেখলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। দিনে পাঁচ ছয় ঘন্টা কাজ করে ৫০-৬০ জনের প্রেসার মাপেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০-২০ টাকায় লিটার লিটার জল! হাতেনাতে ধরা পড়তেই ফাঁস আসল রহস্য
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মলয় বসু জানান, তিনি পেনশন পান। তবু এই কাজ করেন কারণ নিজে একটা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। আবার মানুষকে শরীর স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন করতে পারেন। তিনি নিজে সামাজিক কাজ করেন। বিজ্ঞান আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শ্রমজীবী স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য এই কাজ তিনি বেছে নিয়েছেন। তিনি যা আয় করেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ দান করেন। চুঁচুড়ায় সন্ধ্যায় দেখা গেলো তাকে দোকানে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের রক্তচাপ মাপছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, “অনেক সময় কাজের চাপে ডাক্তারের কাছে বা ওষুধের দোকানে গিয়ে প্রেসার মাপা হয়ে ওঠে না। কিন্তু ব্লাড প্রেসার নিয়মিত মাপা ভাল। যেটা মলয় বাবু এলে তার থেকে মাপিয়ে নেওয়া যায়।”
রাহী হালদার





