Hooghly News: ১০-২০ টাকায় লিটার লিটার জল! হাতেনাতে ধরা পড়তেই ফাঁস আসল রহস্য

Last Updated:

মাত্র ১০ টাকায় জল দেওয়া যাচ্ছিল।

+
অবৈধ

অবৈধ জল চুরির ব্যবসা

হুগলি: শহর জুড়ে গজিয়ে উঠেছিল অবৈধ জলের ব্যবসা। কেউ মাটির তলা থেকে সরাসরি জল তুলে তা অন্যান্য নামি দামি কোম্পানির বোতলে ভরে বাজারজাত করছিলেন। আবার কেউ পুরসভার জলকে স্টোর করেই তাকে বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। পানীয় জলের সংকটের সময় যখন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তার পরেও জেলা জুড়ে চলছে অবৈধভাবে জলের ব্যবসা। এবার সেই অবৈধ জলের ব্যবসায়ী হাতে না হাতে ধরলেন খোদ পুরোপ্রধান।
ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরের, অবৈধভাবে জল উত্তোলন এবং তা বিক্রি করে অসাধু উপায়ে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কিছু স্বার্থের লোভী ব্যবসায়ীরা। এই খবর আগে থেকেই ছিল পুরসভার কাছে। শনিবার সকালে একেবারে সরোজমিনে এই গোটা বিষয় খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুরো প্রধান স্বপন দাস। সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে জল উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গোটা ঘটনায় চেয়ারম্যান জানান, “শহরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর জন্য একাধিক কাজ শুরু করেছে পুরসভা। তারপরেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পৌঁছাচ্ছে না লোকের বাড়িতে। সেই খোঁজ নিতে গিয়েই জানা যায় এরকম অনেকে রয়েছেন যারা নিজেদের বাড়িতে বোরিং মেশিন বসিয়ে মাটির তলা থেকে অবৈধভাবে জল তুলে নিচ্ছেন। তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তারাই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। আবার অনেকে রয়েছে যারা পুরসভার জলকেই স্টোর করে তা বোতলে ভরে বাজারজাতও করছেন।” এই ঘটনা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়ে একেবারে চক্ষুচরক গাছ হয়ে ওঠে। যা ধরা পড়ে, তা অভাবনীয়।
advertisement
অবৈধ জল উত্তোলনকারীরা এক একদিনে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার লিটার মাটির তলা থেকে জল উত্তোলন করছে। কোনরকম বিশেষ প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে কম দামে। একদিকে সেই জল কতটা মানুষের শরীরের উপযোগী তা নিয়েও যেমন প্রশ্ন থাকে তেমনি প্রশ্ন থাকছে যে কিভাবে বা কাদের মদতে এই ব্যবসা চালাচ্ছেন। পুরো প্রধান পৌঁছাতেই খোলাসা হয় সবকিছু।
advertisement
এই বিষয়ে অবৈধ জল উত্তোলনকারী এক ব্যবসায়ী অরুণ মন্ডল তিনি বলেন, আজ থেকে বছর চারেক আগে প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে তিনি এই জলের প্ল্যান্ট বসিয়েছিলেন বাড়িতে। মাটি থেকে জল উত্তোলন করে সেই জলকে বোতলে ভরে বাজারে পাঠানো হচ্ছিল। মাত্র ১০ টাকায় জল দেওয়া যাচ্ছিল। কম টাকায় জল দেওয়ার কারণে তার কাছে জলের খরিদারও বেশি হত। চেয়ারম্যান যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন টনক নড়ে তাদের।
advertisement
এ বিষয়ে ওই বিক্রেতা বলেন, তিনি শুধু এখন নন, গোটা কোন্নগর জুড়ে আরও এরকম অনেক প্ল্যান্ট হয়েছে যারা অবৈধভাবে জল তুলে বিক্রি করছে। তাদের জল কোথায় টেস্ট হয় সে কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান শ্রীরামপুরে কোন এক কেমিস্ট্রি রয়েছে যিনি এই জল পরীক্ষা করে দেন।
একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পানীয় জলের স্তর ক্রমেই কমতে শুরু করেছে। তার মধ্যে জায়গায় জায়গায় ছত্রাকের মতন গজিয়ে উঠেছে এই ধরনের অবৈধ জল উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীরা। এবার মাটির তলার জল চুরি রুখতে তৎপর হল কোন্নগর পৌরসভা। আগামী দিনে এই অভিযান আরও চলবে এমনটাই জানিয়েছে কোন্নগর পুরসভার পুরো প্রধান স্বপন দাস।
advertisement
রাহী হালদার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly News: ১০-২০ টাকায় লিটার লিটার জল! হাতেনাতে ধরা পড়তেই ফাঁস আসল রহস্য
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
  • দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে

  • আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে ?

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement