এখন এই ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন রকমের চার্জ সিস্টেম এলইডি টর্চ লাইট মার্কেটে এসেছে। এবং সকলের বাড়িতেই বিদ্যুৎ রয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতেই জলছে এলইডি বাল্ব। এছাড়া কারেন্ট চলে গেলেও ব্যবহার হচ্ছে ইনভার্টার অথবা চার্জ দেওয়া লাইট ল্যাম্প ইত্যাদি। এর ফলেই আগেকার সেই লন্ঠন আর সেই ভাবে কেউ ব্যবহার করেনা ফলে চাহিদা কমেছে এই লণ্ঠনের।
advertisement
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেলা দুয়ার এলাকার দুর্গা মন্দিরের সামনেই রাস্তার ধারে রয়েছে ছোট্ট একটি দোকান সেখানেই ৬৩ বছর বয়সের দিলীপ গড়াই নিজেদের ব্যবসা-বাপ ঠাকুর্দার আমলের লণ্ঠন শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এক ভাবে লন্ঠন বানানোর কাজ করে চলেছে। আগে যে হারে প্রতিদিন লন্ঠন তারা বানাতেন এবং যে হারে তাদের লন্ঠন বিক্রি হত তা এখন আর হয় না কোনওরকম পেট চালানর তাগিদে লন্ঠন বানাচ্ছেন দিলীপ গড়াইয়ের মত কিছু লন্ঠন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে পাক ক্রিকেট খেলা হোক বলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, তাতেই গর্জে উঠেছে ঝালদাবাসী!
লন্ঠন ব্যবহার না করলেও কিছু মানুষ এখনও শখ করে বাড়িতে সাজিয়ে রাখেন এই লন্ঠন। তাই এভাবেই কোনওরকম চলে যাচ্ছে তাদের লন্ঠন শিল্প এ ছাড়া বিষ্ণুপুর একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। সেখানে যখন পর্যটকেরা আসেন সেই সময় কিছু লন্ঠন বিক্রি হয়। এভাবেই কোনওরকম চলে যাচ্ছে তাদের লন্ঠন শিল্প। তবে নতুন করে আর এই শিল্পে কেউ আসছে না কাজ শিখছে না। তাই হয়ত কিছুদিন পর এই লন্ঠন আর দেখতে না পাওয়া যেতেও পারে!





