কেনার জন্য ভিড় পড়ে যায় ক্রেতাদের। এই রথ উৎসবকে ঘিরে এক মাস ধরে মেলা বসে। মেলায় বিক্রি হয় ডালার মিষ্টি। রাসমাঠে উৎসবের সূচনা করেন রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য ও পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী ও অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
রথ সাধারণত রশি দিয়েই টানা হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু ব্যতিক্রম বারুইপুরের রায়চৌধুরীদের রথ। ৩৫০ বছরের বেশি পুরনো এই উৎসবে ঐতিহ্য মেনে লোহার শিকল দিয়ে টানা হয় রথ। এই লোহার শিকল ইংরেজ আমলের, তাতে এখনও একটু মরচে পড়েনি। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা-তিনবার টানার পর রথ পৌঁছয় মাসির বাড়ি। এই লোহার শিকল ছুঁতেই দূরদূরান্তের কয়েক হাজার মানুষ চলে আসে রাসমাঠে।
রায়চৌধুরী পরিবারের এক সদস্য জানান আমাদের পূর্বপুরুষ জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরী এই রথ উৎসবের সূচনা করেছিলেন। সেই পরম্পরা মেনে রথ উৎসব হয়ে আসছে। ইংরেজ আমলের লোহার শিকল সারা বছর রথের সঙ্গেই থাকে। উৎসবের দিন সেই শিকল রথ থেকে খোলার কাজেই বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন আসে।নাটমন্দিরে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। ধুতি, গেঞ্জি পরা কয়েকশো লোক সাতপাক ঘুরিয়ে দেবতাদের কোলে করে নিয়ে আসে রথে। ঢোল, কাঁসর বাজিয়ে মহাশোভাযাত্রা সহকারে দেবতাদের নিয়ে আসা হয়।একই নিয়ম মেনে নয়দিন পর মাসির বাড়ি থেকে আবার রথ ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। মেলায় বিভিন্ন গ্রামীণ জিনিসকে ফিরিয়ে আনা আমাদের লক্ষ্য। মনিহারি থেকে গাছ-গাছালি, বিনোদন, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুরই সম্ভার থাকে মেলায়।
সুমন সাহা