উপকূল রক্ষী বাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে,ট্রলারটি ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে। ঘটনাটি নজরে আসতেই উপকূল রক্ষী বাহিনীর টহলদারি জাহাজ ট্রলারটিকে আটক করে। রাতেই আটক মৎস্যজীবীদের ট্রলারসহ ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার এই ২৬ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। গত দু’দিনে এই নিয়ে মোট ৫৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ভারতীয় জলসীমা থেকে আটক করল উপকূল রক্ষী বাহিনী। দুটি ঘটনাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
advertisement
তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, মৎস্যজীবীরা সত্যিই মাছ ধরতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করেছিলেন, নাকি ট্রলার ব্যবহার করে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রলারগুলির নৌ-রুট, যন্ত্রপাতি এবং নেভিগেশন সিস্টেমও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে। এর আগে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় তারা। তবে এবার ভারতীয় জলসীমার মধ্যে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা কী করছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এদিকে এই ঘটনার পর উপকূলে নিরপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে সবকিছু।






