দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জয়নগর থানা এলাকার দক্ষিণ বারাসাতের বাসিন্দা রতন দাস তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যাক্তি। আর তিনি জীবিকার তাগিদে কখনও মুম্বাই কখনও দিল্লি আর কখনও বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। সেখানে কখনও শারীরিক অসুস্থতা আবার কখনও কখনও সেই কাজ করে উঠতে পারিনি। সেই কারণে অধিকাংশ সময় কাজটা ঠিকঠাক করতে পারিনি বাড়িতে টাকাও সময় মতো পাঠাতে পারতেন না। আর তাই বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন নিজের গ্রামে। আরে তাই সে নিজের মাথায় বুদ্ধি খাটিয়ে পড়ে থাকা জমিতে স্থানীয় বাজারগুলোতে সারা বছর চাহিদা থাকায় কলা চাষের উদ্যোগ নেন। শুধু তার নিজের জন্য অন্যের জমি আগাম টাকায় লিজ নিয়ে কলা চাষ শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন: অসাধারণ ফলনের গোপন রহস্য ফাঁস, শীতে সবজি চাষে লাভ রাখার জায়গা থাকবে না! সেরা টেকনিক দিলেন বিশেষজ্ঞ
বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০ টাকা দরে চারা সংগ্রহ করেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা। রোপণের ১০ মাস পর কলা বিক্রির উপযোগী হয়। সাত মাস আগে থেকেই তিনি কলা বিক্রি শুরু করেছেন। মজুরি, সার, কীটনাশক ও নিয়মিত সেচ বাবদ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি কাঁদি গড়ে ৫০০ টাকা দরে গত ৭ মাসে আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন তিনি। এখন খরচ বাদে কলা ও গাছের চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পান।
কলা চাষে প্রথমবার চারা কিনতে যে ব্যয় হয়েছিল, পরের বার তা ব্যয় হবে না। খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রতিবছর চারা বিক্রির টাকা দিয়ে খরচ মেটানো সম্ভব হবে। এতে এক একর এই বাগান থেকে খরচ বাদে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হবে তাঁর। বাজারের ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কলা নিয়ে যান। আর এভাবে সে কঠোর পরিশ্রম করে আশার আলো দেখেছে এই কলা চাষ করে। তাই তিনি এগিয়ে এসে ও বেকার যুবকদের এই কলা চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।





