প্রতারকরা নিজেদের ডেলিভারি বয় বা কোনও সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করে বলছেন “দাদা, আপনার একটি অর্ডার রয়েছে, দয়া করে রিসিভ করে দিন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুক্তভোগীদের ফোন করে জানানো হচ্ছে যে তাঁদের নামে একটি পার্সেল এসেছে, যা নাকি ‘ক্যাশ-অন-ডেলিভারি’।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডেলিভারি কর্মীরা জানান না কে পাঠিয়েছে বা ভিতরে কী রয়েছে। ফলে অনেকেই ভাবছেন হয়তো কোনও আত্মীয় বা সন্তান উপহার পাঠিয়েছে। সন্দেহ না করেই তাঁরা টাকা দিয়ে পার্সেল গ্রহণ করছেন।
advertisement
পার্সেল খুলে দেখা যাচ্ছে, ভিতরে রয়েছে নিতান্তই সাধারণ ব্যবহার্য জিনিস ন্যাপকিন, সস্তা শাড়ি, চাদর, কমদামি কসমেটিকস-সহ নানা অপ্রয়োজনীয় বস্তু। যার প্রকৃত মূল্য দেওয়া টাকার থেকে বহু গুণ কম। এরপর পার্সেল ফেরত দেওয়ারও কোনও উপায় থাকছে না। ফলে প্রতারকদের হাতে প্রতিদিনই গচ্ছিত টাকা খোয়াচ্ছেন বহু মানুষ।
বীরভূমের বেশ কয়েকজন এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, “যেকোনও অজানা, অননুমোদিত বা সন্দেহজনক ক্যাশ-অন-ডেলিভারি পার্সেল গ্রহণ না করাই সবচেয়ে নিরাপদ।” পুলিশের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কে পাঠিয়েছে জানা না থাকলে পার্সেল গ্রহণ করবেন না। অর্ডার না করা কোনও পণ্য নেবেন না। সন্দেহ হলে সরাসরি ডেলিভারি সংস্থার হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন- ঋত্বিক ঘটক স্পেশ্যাল চলচ্চিত্র উৎসব! কিংবদন্তির জন্ম শতবর্ষে মধ্যমগ্রামে বিশেষ আয়োজন
প্রতিদিনই মোবাইল, WhatsApp এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নানা প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। সামান্য অসতর্কতায় গচ্ছিত টাকা খোওয়া যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ “কাউকে বিশ্বাস করার আগে দু’বার ভাবুন। অর্ডার না করা কোনও পার্সেল কখনও গ্রহণ করবেন না।”






