গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেও কোনও চাকরি না পেয়ে সংসারের হাল ধরতে চায়ের দোকান দিয়েছেন নিতাই মিস্ত্রি৷ গোবরডাঙা স্টেশনের পাশে দশ ফুট বাই চার ফুট দোকানেই একটু একটু করে পসার বাড়াতে থাকেন তিনি। ছোট থেকেই আবৃত্তির ওপর ছিল আগ্রহ। ছিল ধারাবাহিক চর্চাও। শখ থাকলেও সেভাবে পূরণ হয়নি। তাতে কী? চায়ের দোকান চালিয়েই তার দোকানে আসা চা প্রেমীদের কবিতা শুনিয়ে মনের সাধপূরণ করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : অসুখের নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ কেন? কীভাবে ছড়ায় এই সংক্রামক অসুখ?
নিতাইয়ের চায়ের দোকানে পাওয়া যায় হরেকরকম চা। লিকার চা, মশলা চা ,লেবু চা, দুধ চা-সহ অনেক রকম চা-ই তৈরি করতে করতে অবলীলায় কবিতা আবৃত্তি করেন নিতাইবাবু। দোকানে ঢুকলে দেখা যাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। কেননা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মধ্যেই জীবনের ছন্দ খুঁজে পান এই চা দোকানি। প্রায় কুড়ি বছর ধরে চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন : হলদেটে ছোপ দূর করে দাঁত ঝকঝকে রাখতে চান? এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলিকে
সারাদিন কাজকর্মের জটিলতা সামলে এক বার নিতাইবাবুর দোকানের চা না খেতে এলে মন ভাল লাগে না অনেকেরই। আসলে নিতাইদার হাতে তৈরি চা খেতে খেতে তার কবিতা শোনার মধ্যে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা কেউই হাতছাড়া করতে চান না। দোকানে চা খেতে খেতে এমনই মন্তব্য করলেন একজন ক্রেতা।
( প্রতিবেদন : রুদ্র নারায়ণ রায়)