আরও পড়ুন : বাড়িতেই তৈরি করুন ভূস্বর্গের পানীয়, শীত হয়ে উঠবে আরামদায়ক
জানা গিয়েছে,পাটকাঠির গাদার পাশে খেলা করছিল ওই দুই শিশু। খেলতে খেলতে পাটকাঠির গাদার উপর দিক থেকে বোমা পড়ে ফেটে যায়। বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় ২ শিশুকে উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জুনাইদ হোসেনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে অভিযোগের তির আহত ফারহান সেখের দাদু গজলু সেখের দিকে। আহত জুনাইদ হোসেনের বাবা বানেজ সেখ বলেন, ‘‘দুপুরে আমার ছেলে খাওয়া দাওয়া করে মাঠে খেলা করছিল। বিকট আওয়াজ শুনে আমি ছুটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। প্রতিবেশীদের মুখে শুনতে পাই বোমা ফেটেছে। ছুটে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে আমাদের অনুমান আহত ফারহান সেখের দাদু গজলু সেখ এই ঘটনায় অভিযুক্ত রয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন : শীতের রাতে সোয়েটার পরেই ঘুমোতে যান? দেখুন এই অভ্যাস কতটা বিপজ্জনক স্বাস্থ্যের জন্য
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এলাকাবাসী মহম্মদ হোসেন বলেন, ‘‘বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশ এসে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি বোমা উদ্ধার করেছে। আমরা চাই কে বা কারা এই বোমা মজুত রেখেছিল পুলিশ তদন্ত করে বের করুক।’’ তবে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুরা আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে জেলাতে। কয়েকদিন আগেই বহরমপুরের টিকটিকিপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে ৩ শিশু গুরুতর আহত হয়েছিল। সেই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শিশুরাই আহত।