কয়েক মাস আগে মেহবুলের বাড়ি থেকে কয়েক ফুট দূরত্বের এক প্রতিবেশীর কলা ঝাড় থেকে গাছটি নিয়ে আসা। ফুট তিনেকের চারা গাছ নিয়ে লাগিয়ে ছিলেন মেহবুল। পুরনো সেই কলা ঝাড়ে কখনও একটি গাছে একের বেশি কলার কাঁদি আসেনি। এটাই হল স্বাভাবিক ঘটনায় একটি গাছে একটি কাঁদি। কিন্তু মিহবুলের বসানো গাছে একসাথে ১২ কাঁদি দেখে অবাক পাড়া-প্রতিবেশী সকলে। মেহবুল জানায়, এত দিন জেনেছি একটি গাছে একটিই কলার কাঁদি। কখনও শুনিনি যে একটি গাছে অনেক কাঁদি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১৫০০০ লিট্টি, ২০০ কারিগর! অভিষেকের সভায় কী হতে চলেছে? তুমুল জল্পনা শুরু
কিন্তু আমার গাছেই এমন অবাক করা ঘটনা হল। তিনি জানান, প্রথমে একটি বড় মোচা দেখা যায়। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটা মোচা-সহ কাঁদি। তারপর আরও কয়েকটি ছোট ছোট কাঁদি। সব মিলিয়ে মোট ১২ মোচা-সহ কলার কাঁদি। ১২ কাঁদি হওয়ার পর, এই গাছ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা গ্রাম জুড়ে কোথাও ঘটেনি জানালেন প্রতিবেশীরা। এমন ঘটনা শোনাও যায়নি। তাই দূর দূরান্ত থেকে এই কলা গাছ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
আবার এই কলা গাছের ছবি তুলতে মানুষের হিড়িক লেগে যাচ্ছে। বাগনান ১ ব্লকের অন্তর্গত পাঁচসেরা পাড়ার বাসিন্দা শেখ মেহবুল আলির বাড়ির উঠানে এই গাছ। গাছটি দানা কলার গাছ। সবজি হিসাবে রান্না করে খাওয়ার জন্যই উঠোনে বসানো হয়েছিল গাছটি। জানান, মেহবুল বাবুর স্ত্রী। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৮-৯ ফুট। এ কলা গাছ নিয়ে যেমন মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। তেমনই আরও কৌতূহল বাড়াচ্ছে ওই গাছের গড়া থেকে গজানো চারাগুলোকে নিয়ে।
রাকেশ মাইতি