মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে এখন রয়েছে ১৭টি গাড়ি। প্রধানত প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এই প্রকল্পের সূচনা করে। ১০২ নম্বরে ফোন করলেই এই অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে যায়। এই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে এক জন করে সহকারী থাকেন রোগীর দেখভালের জন্য। মাতৃযান অ্যাম্বুল্যান্স চালক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘ কয়েকদিন ধরে নিশ্চয়যান অ্যাম্বুল্যান্সচালকদের সঙ্গে গন্ডগোল চলছে। সেই কারণেই আমাদের অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ভাঙা হল কিনা তার তা বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুক।’’
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়িতেই তৈরি করুন ভূস্বর্গের পানীয়, শীত হয়ে উঠবে আরামদায়ক
মাতৃযান অ্যাম্বুল্যান্স সুপার ভাইজার সুদীপ কাউরি বলেন, ‘‘এই ঘটনার জেরে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য মাতৃযান অ্যাম্বুল্যান্সগুলি দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব পরিষেবা দেওয়া যায়। আমরা চার বছর ধরে এই অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছি। কিন্তু এই রকম ঘটনা এর আগে কোনওদিন ঘটেনি। এমএসভিপি-অফিসের পাশেই আমাদের অ্যাম্বুল্যান্সে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালাল। আমরা দাবি জানাচ্ছি কে বা কারা কী কারণে আমাদের অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালাল পুলিশ তদন্ত করে বার করুক।’’
আরও পড়ুন : শীতের রাতে সোয়েটার পরেই ঘুমোতে যান? দেখুন এই অভ্যাস কতটা বিপজ্জনক স্বাস্থ্যের জন্য
অন্যদিকে, নিশ্চয়ান অ্যাম্বুলেন্স চালক রনি সেখ বলেন, ‘‘মাতৃযান চালকদের সঙ্গে আমাদের কোনও গণ্ডগোল নেই। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। নাইটে নিশ্চয়যান চালকদের ডিউটি না থাকায় এই বিষয়ে কিছু জানা নেই। আমরাও চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক।’’ যদিও এমএসভিপি ডাঃ অমিয় কুমার বেরা বলেন, ‘‘ওই জায়গায় আরও গাড়ি ছিল, তবে মাতৃযানগুলিকেই ভাঙা হয়েছে। আর ওই এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নেই। তাতে স্পষ্ট যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত, তারা পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। খুব শীঘ্র অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।’’
আরও পড়ুন : অনেকের কাছে ব্রাত্য শীতকালের এই সুস্বাদু শাকেই সুস্থতার চাবিকাঠি
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা কোনও ঠিকাদার বা যাঁরা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা করেন তাঁদের ষড়যন্ত্র হতে পারে। সব জায়গায় দুর্নীতি চলছে। সেই দুর্নীতির প্রতিফলন এই ঘটনা।’’