পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাকদ্বীপে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিনিয়ত ব্লক অফিস গুলিতে বারবার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কোথায় জলোচ্ছ্বাস ঘটছে কিনা, নদীবাঁধের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং কোথাও ত্রাণসামগ্রীর প্রয়োজন আছে কিনা, তা এই কন্ট্রোল রুম থেকে দেখা হচ্ছে। যতক্ষণ আবহাওয়া পরিস্থিতির না উন্নতি হবে ততক্ষণ এই কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। এর সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ব্লকের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেলকে।
advertisement
আরও পড়ুন: অণ্ডকোষের পর ফিসচুলার সমস্যা, অনুব্রতর বাহারি ডায়েট চার্ট! কী কী তালিকায়?
ইতিমধ্যে কন্ট্রোল রুম থেকে সাধারন মানুষজনকে উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নদী ও সমুদ্রে মাছ না ধরতে যাওয়ার ওপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের একাধিক বিডিও অফিসগুলিতে প্রতিনিয়ত কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকেও রাখা হয়েছে কড়া নজর। এ প্রসঙ্গে কাকদ্বীপের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব দাশগুপ্ত জানান, বর্ষার সময়ে প্রতি বছর এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকে। তবে এ বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভবনা দেখা দেওয়ায় কন্ট্রোল রুমটিকে আরও সক্রিয় করে তোলা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না মেটা পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রূম ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। এই কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিনিয়ত ব্লক অফিসগুলিতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সামনে যেতে চান, ১৪ দিন সময় চাইলেন অনুব্রত, খবর সূত্রে
আমফান, ইয়াস-সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এই কন্ট্রোল রুম এ বার কাজ করবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীর জলস্তর বাড়লে নদীবাঁধ ভাঙার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সেই সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় বর্তমানে সেদিকটিই লক্ষ্য রেখেছে এই কন্ট্রোল রুম।
নবাব মল্লিক