শওকত বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই। স্বাধীনতার পর এই ধরনের তাণ্ডব, সন্ত্রাস হল। ভাঙড়ের মানুষ এরকম হিংসা দেখেনি।” এদিকে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। নওশাদের দাবি, তদন্ত হলে সবটাই সামনে আসবে।
আরও পড়ুন:বিতর্কের মধ্যেই মনোনয়ন জমা অনন্ত মহারাজের, বঙ্গভঙ্গের দাবি নিয়ে কী ‘সাফাই’ সুকান্তর?
advertisement
এদিন নমুনা সংগ্রহ করতে ভাঙড়ে পৌঁছয় ফরেন্সিক টিম। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটের গণনার দিন পর্যন্ত, ভাঙড় যেন যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজনৈতিক হিংসায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এই অঞ্চলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসী।
ভোট, গণনা সব মিটে যাওয়ার পরেও যেন এখনও শান্ত হয়নি ভাঙড়। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায় এলাকায়৷ গ্রামবাসীদের চোখে মুখে ধরা পড়ছে আতঙ্কের ছবি। ভাঙড়ের এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী৷
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল-বিএসএফ-বিজেপি, ভোট মিটতেই বৈঠক? কী আলোচনা..তুমুল তোপ কুণাল ঘোষের
তিনি বলেন, “আমরা গতকাল রাত ৮টায় জানতে পারি ২ জেলা পরিষদ প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রাত ১২টা বেজে গেলেও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। পরে একজনকে শংসাপত্র দিলেও আরেক প্রার্থী জাহানারা বিবিকে দেওয়া হয়নি। উনি আরাবুল-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। আরাবুল দুষ্কৃতী নিয়ে গণনাকেন্দ্রে গিয়ে হামলা করেন, মারধরও করেন। আরাবুল গণনাকেন্দ্র দখল নিলেন, সরকারি আধিকারিকরা কী করছিলেন? আমরা এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আদালতে যাব।”
সুমন সাহা