গরীব ঘরের সন্তান হয়ে সামান্য জমিতে চাষাবাদকে সামনে রেখে নিজের জেদ ও অদম্য ইচ্ছায় আজ সফল একজন ব্যায়ামবীর তিনি। জয়নগর মজিলপুর জেএমট্রেনিং স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনির কাজ করে অতি কষ্টে দিন গুজরান তাঁর। তাঁর দুটি মেয়ে ও স্ত্রী আছে। মেয়ে দুজনের বিবাহ দিয়েছেন এই চরম দারিদ্রতার মধ্যেও। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে ভেঙে পড়েননি তিনি। চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সাধনার কাজ। ইতিমধ্যে রাজ্য স্তরে পাওয়ার লিফটিংয়ে ১২ বার প্রথম স্থানে ও ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতিদিন আধঘণ্টা করে কথা বলবেন অনুব্রত! কার সঙ্গে? ৩ আর্জি ঘিরে শোরগোল
আরও পড়ুন: সিগারেটের বাংলা কী জানেন? ৯৯% বাঙালিই জানেন না! আপনি জানলে চ্যাম্পিয়ন
২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯২ সালে কলকাতার বেলেঘাটা তরুন সংঘের হওয়া রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং জয়নগরে ১৯৯৮ সাল ও ২০০০ সালে হওয়া রাজ্য প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। গুরগাঁও শহরের বাদশাপুরে হওয়া জাতীয় বেঞ্চপ্রেস প্রতিযোগিতায় ৮০ কেজি ওজন তুলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন।
বর্তমানে চরম দারিদ্রের ভেতরে থেকেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই তো নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। আর তাঁর এই সাফল্যের পেছনে তাঁর ক্লাব গহেরপুর বিবেকানন্দ সমিতিও এগিয়ে এসেছেন। এগিয়ে এসেছেন জয়নগর মজিলপুর পৌরসভা-সহ এলাকার বহু সাধারণ মানুষ। সবাই চায় তাঁর এই প্রতিভা দেশের বাইরে ও ছড়িয়ে পড়ুক। জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের এক চিলতে ভাঙা ঘরে দাঁড়িয়ে নেপালে যাওয়ার ঠিক আগে বুধবার তিনি জানালেন তাঁর এই কাজের পাওয়া না পাওয়া-সহ একাধিক বিষয়। সফল গরীব এই ব্যায়ামবীর তপন বিশ্বাস কাঠমান্ডুতে যাবার আগে একরাশ আশা নিয়ে পাড়িদিলেন জয়নগর থেকে। আর জয়নগরের মানুষ ও চান তাঁর এই আশা পূরন হোক।
সুমন সাহা