স্বরূপ প্রামাণিকের স্ত্রী রোগে ভুগে কয়েক মাস আগে মারা যান। এদিকে রানু জানার স্বামী নিজে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন। কিন্তু তাঁর অকাল মৃত্যুর পর মথুরাপুর থানায় স্বামীর সেই চাকরিটাই পান রানু। এরপর কর্মক্ষেত্রে স্বরূপের সঙ্গে রানুর দেখা হয়। একসঙ্গে রাস্তায় ডিউটি দিতে দিতে, আবার কখনও একসঙ্গে মেলায় নিরাপত্তা রক্ষার ভূমিকা পালন করতে গিয়ে কবে যেন তাঁদের দুটি মন কাছাকাছি চলে আসে। স্বরূপ ও রানুর এই প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই তাঁদের এক করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন মথুরাপুর থানার এসআই অনুপ মজুমদার।
advertisement
সেই মত মথুরাপুর থানাতেই বসল বিয়ের আসর বরকর্তার ভূমিকায় দেখা গেল খোদ ওসি জাহাঙ্গির আলিকে। তাদের সম্পর্ক স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি স্বরূপ ও রানু দু'জনেই। তাঁরা জানিয়েছেন, জীবনে এমন স্বপ্নের দিন আসবে তা ভাবতে পারেননি। পরিবার ও থানার আধিকারিকদের পাশে পেয়ে খুবই খুশি তাঁরা।
এই বিয়ের অনুষ্ঠানে মথুরাপুর থানার পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি সমাজকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ে শেষে ছিল পাত পেড়ে খাওয়ার আয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে সকলেই হাসিমুখে বিদায় নিয়েছেন। যাওয়ার আগে নবদম্পতিকে নতুন পথে চলার জন্য আশীর্বাদ করে গিয়েছেন প্রত্যেক অতিথি।
নবাব মল্লিক