আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ীই শনিবার ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গঙ্গাসাগর সহ আশেপাশের সমস্ত এলাকা। এই কুয়াশার জেরেই শুক্রবার রাত ৯ টার পর থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর-৮ থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন। কারণ দৃশ্যমানতা একেবারে নেমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভেসেল চালালে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যেত।
শনিবার সকালেও লট নম্বর-৮ ও কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকে। যার ফলে বহু পুণ্যার্থী আটকে পড়েন লট নম্বর-৮ এ। অন্যদিকে এই কুয়াশার জন্যই সকাল থেকে নামখানা-বেনুবন পয়েন্টের লঞ্চ পরিষেবা ও বাস পরিষেবা পুরপুরি বন্ধ রাখা হয়। গঙ্গাসাগর মেলার মাঠেও প্রশাসনের পক্ষ বারবার মাইকিং করে কুয়াশা জনিত কারণ নিয়ে পুণ্যার্থীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এই জেলার প্রথম কন্যাশ্রী কাপে বাজিমাত জঙ্গলমহল একাদশের
এদিকে ঘন কুয়াশার জেরে সাগরের জোড়ামন্দিরে পূণ্যার্থীদের একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। ডায়মন্ডহারবার রোডের যানচলাচলও ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে সংক্রান্তির শাহি স্নান। চলবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত। সকল পুণ্যার্থীরই লক্ষ্য থাকে শাহি স্নানের আগে গঙ্গাসাগরে পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু ঘন কুয়াশার জেরে শুক্রবার রাত থেকেই সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কচুবেড়িয়া জেটি ঘাটে ক্রমশই ভিড় বাড়ছে তীর্থযাত্রীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কচুবেড়িয়ায় পুন্যার্থীদের জড়ো হওয়ার উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীরাও আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না।
তবে শেষ পর্যন্ত যাতে পুণ্যার্থীরা নিরাপদেই গঙ্গাসাগরে পৌঁছতে পারেন তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোনও কিছুই করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নবাব মল্লিক