তবে, এখনও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছেন বারুইপুরের এই আদি জমিদার রায়চৌধুরীরা। তবে গতবছর পাখি পাওয়া যায়নি বলে ওড়ানো হয়নি। কিন্তু এবার পাখি পাওয়া গেলে সেই পুরানো রীতি মেনেই ওড়ানো হবে নীলকণ্ঠকে।এছাড়াও এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল, মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। এখনও সপ্তমি ও অষ্টমীতে পাঁঠাবলি হয়। নবমীতে হয় আঁখ ও চাল কুমড়ো বলি।
advertisement
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনো বহু মানুষ আসেন এই বাড়ির পুজো দেখতে। প্রতিবছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। রায়চৌধুরীদের বাড়ির ঠাকুর প্রথম বিসর্জন দেওয়া হয়, তারপর এলাকার অন্য প্রতিমার বিসর্জন হয়। বিসর্জনের সময় রুপোর পাখা দিয়ে দুর্গাকে হাওয়া করা হয়, রুপোর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা হয় রাস্তা। বহুদিন ধরে এই রীতিই চলে আসছে।
সুমন সাহা