আরও পড়ুন: ছৌ নাচ থেকে আদিবাসী নৃত্য, দুর্গাপুজোর কার্নিভালে রঙিন রাজপথ
মৈপীঠের নিম্নবিত্ত পরিবারে বাস জবা, বর্ণালি, সুপর্ণাদের। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। স্বামীর সঙ্গে তাঁরাও গভীর নদীতে নৌকা বা ডিঙা নিয়ে চলে যান মাছ-কাঁকড়ার সন্ধানে। প্রতি পদে পদে যেখানে জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে আক্রমণ হানতে পারে তাঁদের উপর। এই মাছ-কাঁকড়া ধরার ফাঁকে এঁরা নেমেছেন ম্যানগ্রোভের চারা তৈরিতে। চিতুরি বনদফতরের অফিসের সামনেই নদীর পাড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে তাঁদের কাজ। তারপর ঘরে ফিরে হেঁসেল সামলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চলে জীবনসংগ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ রুখতে সক্রিয় প্রশাসন! ডায়মন্ডহারবারে চলল বুলডোজার
কারও বাড়ির মাটির, কেউবা থাকেন নদীর বাঁধের পাড়ে, খড়ের ছাউনির ঘরে। সংসারে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। মৎস্যজীবী এক বধূ জানান, “১৫ কাঠা জমিতে নার্সারি তৈরি হচ্ছে। সুন্দরী, কাতরা, গরান, বকুল, গর্জন, কেওড়া গাছের নার্সারি তৈরি হবে। তিনমাস পর গাছের চারা বড় হয়ে গেলে নদীর পাড়ে পাড়ে বসানো হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদফতর আমাদের এই কাজ দিয়েছে।” পাশাপাশি আরো বলেন, “বাঘ দেখা আমাদের নিত্যকার ঘটনা বাঘের আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই মাছ-কাঁকড়া ধরতে বেরোই। মেয়েকে কলেজে ভর্তি করেছি এই কাজ করেই। আমাদের সেই সুন্দরবনকে বাঁচাতেই চাই আরও ম্যানগ্রোভ। ম্যানগ্রোভ বাঁচলে সুন্দরবন থাকবে। আর সুন্দরবন থাকলেই তবেই আমরা বাঁচবো।”
সুমন সাহা