সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের চারশো বিঘের চর এলাকার লোকালয়ের একটি ধানক্ষেতে বাঘটি ঢুকে পড়েছিল৷ ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল গোটা এলাকা জুড়ে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। এরপর গ্রামবাসী ও বনদফতর এর আধিকারিকদের সাহায্যে ত্রিস্তরীয় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা জমিটি। একটি মুখ খুলে রেখে সেখানে ছাগলের টোপ দিয়ে বসানো হয় খাঁচা৷
advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas news) বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন , "ছাগলের টোপ ব্যবহার করে বহুকষ্টে খাঁচায় বন্দী করা গিয়েছে দক্ষিণ রায় কে। রাতের অন্ধকারে ধানক্ষেতের ভিতর বাঘের গর্জন শুনেই, বনকর্মীরা বুঝতে পারেন খাঁচায় ধরা পড়েছে বাঘ"। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘটিকে উদ্ধারের তোড়জোড় শুরু করে দেন বনকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কয়েক জন গ্রামবাসী মাঠে ধান কাটার জন্য যাচ্ছিলেন। সে সময় তাঁরা ধানক্ষেতের পাশে বাঘ দেখতে পান৷ নিমেষেই সেই খবর চাউর হয়ে যায়৷ বাসিন্দারা লাঠিসোঁটা নিয়ে দল বেঁধে বাঘ তাড়াতে ধানের জমিতে নেমে পড়েন। তাড়া খেয়ে বাঘটি তখন গিয়ে ঢোকে ক্ষেতের মাঝ বরাবর। ক্ষেতে ফসল থাকায় তখন বাঘটিকে চিহ্নিত করা দুষ্কর হয়ে পরে। খবর পেয়ে বন দফতরের কুলতলি বিট অফিস থেকে বন কর্মীরা গ্রামে আসেন৷ পৌঁছান রায়দিঘি রেঞ্জের বন কর্মীরা। এরপর বনকর্মী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধানক্ষেত নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ফের তারের জাল দিয়েও ঘিরে দেওয়া হয় ধানক্ষেত। সেই সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘুমপাড়ানি বন্দুক সহ বন দফতরের দু’টি টিমও মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে অবশেষে বনদফতরে এর পাতা খাঁচায়ই, রাত নামতে শিকারের লোভে বন্দি হয়ে পড়ে বাঘটি। পরে বাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঝড়খালিতে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর এদিন বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।(South 24 Parganas news)






