TRENDING:

South 24 Parganas: অসহায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পাশে মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা

Last Updated:

অসহায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : সুন্দরবনের (Sundarbans) প্রত্যন্ত গ্রামের বহু মানুষ এখনো জীবিকার জন্য নির্ভরশীল জঙ্গলের উপরই। জঙ্গলের কাঠ, মধু সংগ্রহ ও খাড়ির মাছ কাঁকড়া ধরে পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতে, প্রতি নিয়ত নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি। জলে কুমীরের ভয় তো ডাঙ্গায় বাঘের (Tiger)। চলতি বছরে বাঘের (Tiger) আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি মৎস্যজীবীর। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পুনরায় জীবিকা নির্বাহের জন্য জঙ্গলে যেতে পারলেও বাঘের (Tiger) হামলায় আহত বেশিরভাগ মানুষই আর আগের মতো শারীরিক ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন না। এহেন অসহায় পরিবারগুলির দিন গুজরান করা তখন কঠিন হয়ে পড়ে। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা যখন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে বের হন, তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। যতক্ষণ না সুস্থ শরীরে ফিরে আসতে পারছে সে।
বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পাশে মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা
বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পাশে মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা
advertisement

বাঘ আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা। সুন্দরবনে (Sundarbans) বাঘে আক্রান্ত পরিবার ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন তারা। ঘুরে দেখেন কুলতলির বাঘে আক্রান্ত পরিবার গুলির বাড়ি। বাঘি আক্রান্ত পরিবারগুলোর অবস্থা দেখে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা।

কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তে সমরেন্দু চক্রবর্তী , তপন নস্কর , সম্পর্ক চক্রবর্তী, গৌতম প্রামাণিক, রঘুনাথ মন্ডল, সহ মানবতাবাদি ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা ঘুরে দেখেন। বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখেন। সমরেন্দু চক্রবর্তী জানান, 'সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের বাঘে আক্রমণে নিহত ও আহত পরিবারের সন্তানদের " জনগনের পাঠশালা " নির্মান করে বিশেষ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' পাশাপাশি তিনি আরো জানান, 'বংশ পরম্পরায় একটা জনগোষ্ঠী জীবিকার তাগিদে বাঘে আক্রান্ত হবে এটা চলতে পারে না৷ কষ্ট করে জোগাড় করে আনা সুন্দরবনের মধু, কাঁকড়া রপ্তানি করে মুনাফা অর্জন করছে একশ্রেণীর মানুষ। অথচ এই সমস্ত জনগোষ্ঠীর মানুষ জন বাঘের পেটে যাচ্ছে। অভাবগ্রস্ত হয়ে কোন মতে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ জাতি - ধর্ম - বর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই বাঘে আক্রান্ত পরিবার ও সুন্দরবনের জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নতি নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।'

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ডোকরার কাজ করে সংসার চালানো, ফেনা ভাত খেয়েও বডি বিল্ডার হওয়ার স্বপ্ন সাকার বাঁকুড়ার যুবকের
আরও দেখুন

বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে বলেও জানানো হয়। কালাচ সহ অন্যান্য বিষধর সাপের আক্রমণ হলে গুনিন ও ওঝার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে, সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ প্রচার চালান মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দের সদস্যরা। এদিন পরিবারের তরফ থেকে বাঘে আক্রান্ত পরিবার-পরিজনদের হাতে নানান প্রজাতির বৃক্ষ রোপণের জন্য তুলে দেওয়া হয়। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পেরে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে চাইছেন সুন্দরবনের এই বাঘে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪/
South 24 Parganas: অসহায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারের পাশে মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল