আরও পড়ুন: সেনার অনুশীলন চলাকালীন হাতির মৃত্যু, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সেনা ও বন দফতরের বিশেষ বৈঠক
তাঁর এই মনের জোরের তারিফ করেছেন জয়নগরের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন, পরীক্ষাকে সিরিয়াস ভাবে নিয়ে মনের জোরে তিয়াসা পরীক্ষা দিচ্ছে। ও সুস্থ হয়ে উঠুক, জীবনে বড় হোক এটাই চাই।জয়নগরের রথতলার বাসিন্দা তিয়াসা প্রামানিক। জয়নগর ইন্সস্টিটিউট অফ গার্লস এর ছাত্রী সে। তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যামন্দির ফর গার্লস স্কুলে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার কি গ্রিন হচ্ছে কলকাতার ইয়েলো ট্যাক্সি! নতুন করে কোন বদলের ইঙ্গিত?
প্রতিদিনের মতো আজও বাবা ও মায়ের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিল তিয়াসা। তিয়াসার মা স্বপ্না প্রামাণিক বলেন, দুই বছর ধরে অসুস্থ মেয়ে। স্পাইনালে টিউমার ধরা পড়েছিল৷ তারপর বেঙ্গালুরু গিয়ে অপারেশন করাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসা চলছে বহুদিন। এখন অনেকটা ভাল আছে তিয়াসা। এরপর দ্বিতীয়বার অপারেশনের পর হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়েছে তিয়াসা। তিনমাসেই মনের জোরে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে মেয়ে। বাবা তাপস প্রামাণিক বলেন, মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই চাই। ওর ইচ্ছা, মনের জোরের তারিফ না করে পারা যায় না।
আমি এবং ওর মা বারবার বারণ করার সত্বেও ওর নিজের ইচ্ছাতে পরীক্ষাতে বসেছে। চাই ও ভাল রেজাল্ট করুক পরীক্ষাতে।
সুমন সাহা