Indian Army | Forest Department: সেনার অনুশীলন চলাকালীন হাতির মৃত্যু, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সেনা ও বন দফতরের বিশেষ বৈঠক
- Published by:Satabdi Adhikary
- Written by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
বন্যপ্রাণ যেন ফায়ারিং সাইটে ঢুকে না পড়ে সেজন্য বন দফতরের তরফে এলাকার চারপাশ ইলেকট্রনিক ফেন্স বা বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসাবে ফায়ারিং রেঞ্জকে বনাঞ্চলের বাইরে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেনাকর্তারা ওই বিষয়ে তাঁদের সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গ: সেনাবাহিনীর অনুশীলনের সময়ে যাতে সেই এলাকায় কোনওভাবেই বন্যপ্রাণী প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর দেবে দুই পক্ষই৷ আগামী দিনে যাতে আর কোনও বন্যপ্রাণীর অকালমৃত্যু না হয়, সেই জন্যে উভয়পক্ষই সজাগ থাকবে এবং সমস্ত রকমের নজরদারি চালাবে। প্রয়োজনে পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করা হবে। অত্যাধুনিক ক্যামেরা থেকে শুরু করে, ইলেকট্রিক ফেন্সিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেনা ও বন দফতরের বৈঠকে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত।
গত ১৪ মার্চ সরস্বতীপুর জঙ্গল থেকে একটি হাতির দেহ এবং মর্টারের টুকরো উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে সেনাকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন বন দফতরের পদস্থ কর্তারা। বন দফতরের তরফে সেনা কর্তাদের ফায়ারিং অনুশীলনের জায়গা বনাঞ্চলের আশপাশে না রাখতে অনুরোধ করা হয়। শুধু তাই নয়, ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ড্রোন মাউন্ট করা ক্যামেরা ব্যবহার করা এবং ফায়ারিং অনুশীলনের আগে ও চলাকালীন এলাকা স্ক্যান করার জন্য হাই মাস্ট ক্যামেরা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় বন দফতরের তরফে। সেনাকর্তারা বন বিভাগের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। বৈঠকে বন দফতরের তরফে ছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) উজ্জ্বল ঘোষ, উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর এবং মুখ্য বনপাল (উত্তর সার্কেল) এস কে মোলে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার কি গ্রিন হচ্ছে কলকাতার ইয়েলো ট্যাক্সি! নতুন করে কোন বদলের ইঙ্গিত?
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবিষয়ে বলেছেন, "সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল বৈঠক করেছেন। তিস্তা নদীর ওদলাবাড়ি, দুধিয়া, রোহিণী এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং অনুশীলন হয়ে থাকে। পাশেই জঙ্গল। ১৪ মার্চ হাতির দেহ এবং মর্টারের টুকরো উদ্ধারের পরই সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর ওরা আলোচনায় বসতে রাজি হয়। সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।"
advertisement
advertisement
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলোচনার শুরুতেই বন দফতরের তরফে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা মর্টারের টুকরো, ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে হাতির দূরত্ব ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়। বনদফতর সূত্রে খবর, সেনাকর্তারা তিনটি হাতির মৃত্যুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। এরপরই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থার প্রসঙ্গ ওঠে। বন দফতরের কর্তারা ড্রোন মাউন্ট করা ক্যামেরা ব্যবহার করার এবং ফায়ারিং অনুশীলনের আগে ও চলাকালীন এলাকা স্ক্যান করার জন্য হাই মাস্ট ক্যামেরা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। সেনাকর্তারা রাজি হন। বৈঠকে বলা হয় স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায় বনকর্মীরাও থাকবেন সেখানে।
advertisement
আরও পড়ুন: কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিনেমায় ডেবিউ! করেছেন শর্টফিল্মও, কোনপথে টলিউডে অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী?
বন্যপ্রাণ যেন ফায়ারিং সাইটে ঢুকে না পড়ে সেজন্য বন দফতরের তরফে এলাকার চারপাশ ইলেকট্রনিক ফেন্স বা বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসাবে ফায়ারিং রেঞ্জকে বনাঞ্চলের বাইরে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেনাকর্তারা ওই বিষয়ে তাঁদের সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
Location :
Kolkata,Kolkata,West Bengal
First Published :
March 22, 2023 4:06 PM IST